বিমানবন্দরের বাইরে বসে অলকা কুমারী।
সশরীরে আসার উপায় নেই। তাই দিল্লির গ্রেটার নয়ডায় বসে হন্যে হয়ে ফোনেই বোনের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন অলকেশ চৌরাসিয়া। কলকাতায় এসে হারিয়ে গিয়েছিলেন বোন অলকা। অবশেষে রবিবার রাতে তাঁর সন্ধান পেয়েছেন দাদা।
২৬ মার্চ অলকাকে পাওয়া গিয়েছিল বিমানবন্দরের বাইরে। একা। তার দু’দিন আগে বন্ধ হয়ে যায় দেশের অভ্যন্তরীণ উড়ান চলাচল। পরদিন ফাঁকা হয়ে যায় বিমানবন্দর। তার পরের দিনও টার্মিনালের বাইরে অলকাকে বসে থাকতে দেখা যায়।
নোংরা পোশাক, ভাঙা মোবাইল, অসংলগ্ন কথাবার্তা। কথা বলে জানা যায়, প্রোজেক্টের কাজে অলকা এসেছিলেন কলকাতায়। মঙ্গলবার ফেরার কথা থাকলেও বিমানে জায়গা পাননি। এর পরেই ওই তরুণীকে প্রায় জোর করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। পৌঁছে দেওয়া হয় রাজারহাটের কোয়রান্টিন কেন্দ্রে।
সংবাদমাধ্যমে বোনের খবর পেয়ে ফোনে যোগাযোগ করেন অলকেশ। জানতে পারেন, রাজারহাটের কোয়রান্টিন কেন্দ্রে অলকা নেই। তা হলে? রাজ্যের বিভিন্ন দফতর ও পুলিশে ফোন করেন অলকেশ। অবশেষে রবিবার জানতে পারেন, বোন রয়েছেন এম আর বাঙুর হাসপাতালে। অলকার শরীরে করোনার উপসর্গ না থাকায় রাজারহাট তাঁকে বাঙুরে পাঠিয়ে দেয়।
ক্ষুব্ধ অলকেশের প্রশ্ন, ‘‘আমার বোন অসুস্থ নয়। তা হলে হাসপাতালে রাখা হল কেন?’’ তিনি জানিয়েছেন, বন্ধুবান্ধব ও চেনা-পরিচিতদের মাধ্যমে চেষ্টা করছেন কোনও অতিথিশালায় অলকার থাকার ব্যবস্থা করার।