প্রতীকী ছবি।
জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মী-অফিসারেরা লকডাউন পর্বেও নিয়মিত অফিস করছেন। জরুরি পরিষেবা ছাড়াও সব রাজ্য সরকারি অফিস আজ, সোমবার ফের খুলছে।
কোন স্তরের অফিসার-কর্মীরা অফিসে আসবেন, তার রূপরেখাও স্থির করে দিয়েছে সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, উপসচিব এবং তার উপরের পদমর্যাদার অফিসারেরা এক দিন অন্তর অফিসে আসবেন। আসবেন গ্রুপ সি এবং তার নীচের কর্মীরাও। তবে সেই কর্মীর সংখ্যা যাতে কোনও ভাবেই ২৫ শতাংশের বেশি না-হয়, সেটাও ১৬ এপ্রিলের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সরকারি অফিসে উপসচিব পদমর্যাদার অফিসারেরা কমবেশি গাড়ি পেয়ে থাকেন। কিন্তু গ্রুপ সি স্তরের কর্মীদের জন্য গাড়ি বরাদ্দ থাকে না। লকডাউনের মধ্যে তাঁদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে মুখ্যসচিব রাজীব সিংহকে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল। গাড়ির ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা বিবেচনা করা উচিত বলে জানিয়েছেন কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন: আজ থেকে কিছু ছাড়, তবে হটস্পটে কড়া নিয়মে সিল বহু পাড়া
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, অনেক অফিসে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শুধু যে-সব অফিসারকে প্রয়োজন পড়বে, তাঁদের আনা হবে। কর্মীদের আপাতত আনা হচ্ছে না। আবার কিছু কিছু দফতর স্থির করেছে, তাদের গাড়িতেই কর্মীদের আনা হবে। ইতিমধ্যে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা স্থির করেছেন দফতরের প্রধানেরা। প্রয়োজন অনুযায়ী পরিকল্পনা বদলাতে পারে।
আরও পড়ুন চিনের কিট চলে এল, র্যাপিড টেস্ট কী জেনে নিন
কলকাতা, হাওড়া এবং উত্তর ২৪ পরগনার বহু এলাকা ‘কন্টেনমেন্ট’। সেই সব এলাকায় অফিস খোলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকাতেও। বিরোধী কর্মী সংগঠনগুলির বক্তব্য, ‘কন্টেনমেন্ট’ এলাকার মধ্যে থাকা সরকারি অফিস খুলবে কি না, সেই বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট অবস্থান জানানো উচিত।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)