কিছু দিন আগে পশ্চিমবঙ্গের কিছু জেলার পরিস্থিতি দেখতে কেন্দ্রীয় দল এসেছিল। পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
তৃতীয় দফার লকডাউনে কিছু শর্ত শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিলেও ২০টি জেলার পরিস্থিতি উদ্বেগে রেখেছে কেন্দ্রকে। যার মধ্যে আছে কলকাতাও। ওই ২০ জেলায় বিশেষ কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হচ্ছে। দলে থাকছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক, ভাইরোলজিস্টরা। কন্টেনমেন্ট বিধি বলবৎ করা এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে তাঁরা রাজ্যকে সাহায্য করবেন বলে পিআইবি-র বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
রাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, কলকাতার জন্য নিযুক্ত দলে থাকছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ-এর প্রধান মধুমিতা দোবে এবং এই সংস্থারই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লীনা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আঞ্চলিক ডিরেক্টররা কেন্দ্রীয় দলের গতিবিধি ঠিক করবেন। এ দিন বিকেল তিনটেয় ভিডিয়ো কনফারেন্স করে তাঁদের এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিব, অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিবকে তাঁদের রিপোর্ট দেবেন। তাঁদের খরচ বহন করবে তাঁরা নিজেরা যে সংস্থায় কর্মরত, সেই সব সংস্থা।
কিছু দিন আগে পশ্চিমবঙ্গের কিছু জেলার পরিস্থিতি দেখতে কেন্দ্রীয় দল এসেছিল। এই দল পাঠানো ও তার রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয় রাজ্য। সেই বিতর্ক ভাল করে মেটার আগেই ফের কলকাতায় পা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় দল। তবে কেন্দ্রের যুক্তি, এর আগে যে দল গিয়েছিল, তার কাজ ছিল রাজ্য প্রশাসন কেমন কাজ করছে, তা মূল্যায়ন করা। এখন যে দল যাচ্ছে, তার উদ্দেশ্য রাজ্যকে সাহায্য করা। কলকাতা ছাড়াও দিল্লির দু’টি জেলা (মধ্য ও দক্ষিণ পূর্ব), মুম্বই, ঠানে, পুণে, সুরত, আমদাবাদ, বডোদরা, চেন্নাই, লখনউ, ইনদওর, হায়দরাবাদ, গুন্টুরের মতো ২০টি স্থানে দল পাঠানো হচ্ছে। রাত পর্যন্ত রাজ্য সরকারের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: করোনায় প্রাণহানি পঞ্চাশ ছুঁল রাজ্যে
আরও পড়ুন: হাসপাতালে কম, কপ্টারের ফুল পড়ল পথে
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)