মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা শুনেই বেসরকারি বাস মালিকদের একাংশ আগামী ১ জুন সোমবার থেকে বাস পরিষেবা শুরু করতে চান।ছবি: পিটিআই।
এত দিন পর্যন্ত ২০ জন যাত্রী নিয়ে ছুটছিল সরকারি বাস। বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রেও একই সীমা ছিল। তবে শুক্রবার নবান্নে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এ বার থেকে সরকারি, বেসরকারি বাসে যত আসন, তত জন যাত্রী উঠতে পারবেন। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত।’’ তবে কেউ দাঁড়াতে পারবেন না। বাসে ওঠার ক্ষেত্রে কন্ডাক্টরদের জোরাজুরি করতে পারবেন না। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা শুনেই বেসরকারি বাস মালিকদের একাংশ আগামী ১ জুন সোমবার থেকে বাস পরিষেবা শুরু করতে চান।
২০ জন যাত্রী নিয়ে বাস চলার নির্দেশের পরে পুরনো ভাড়ায় বেসরকারি বাস মালিকেরা বাস রাস্তায় নামাতে চাননি। সরকারও ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানান, যাত্রীসংখ্যা বেঁধে দেওয়ার ফলে বাস অর্ধেক খালি গিয়েছে এবং সরকারি বাসের ক্ষেত্রে লোকসানের বোঝা বেড়েছে। সরকারি বাসের আধিকারিকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ফলে যাত্রীদের সমস্যার অনেকটাই সুরাহা হবে। কারণ, এ ক’দিন বাসে ওঠার ক্ষেত্রে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছিল। তবে বাসে ওঠার ক্ষেত্রে গ্লাভস এবং মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে, সিটে কাগজ বিছিয়ে বসতে এবং নামার সময় তা নিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিতে বলেছেন তিনি। কিন্তু দূরত্ববিধিই যদি মানা না যায়, তা হলে সংক্রমণ রোধে এই ব্যবস্থা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
রবিবার বাস-মালিকদের নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছে জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট। অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির রাহুল চট্টোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্তকে ‘ইতিবাচক’ জানিয়ে বলেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে বাস চালাতে চান তাঁরা। ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় পরিস্থিতি অনেকটাই সহজ হয়েছে। তবে ভাড়া নিয়েও কিছু আলোচনা প্রয়োজন।’’
আরও পড়ুন: মায়ানমার, কলম্বো থেকে উড়ানে ফিরলেন ৪৬ জন
আরও পড়ুন: খাটের নীচ থেকে জেএমবি জঙ্গি ধরল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ
পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানান, ৪০% যাত্রী নিয়ে ১ জুন থেকে ভেসেলে যাত্রী পরিবহণ শুরু হবে। হাওড়া থেকে ফেয়ারলি, বাগবাজার, শিপিং, চাঁদপাল ঘাট-সহ ৯টি ঘাট থেকে ১ ঘণ্টা অন্তর ভেসেল চলবে।