—ফাইল চিত্র।
৩৫৬ ধারার বদলে ১৪৪ ধারা কেন? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে আলিপুরদুয়ারের সাংসদের আর্জি নিয়ে এবার এমন প্রশ্ন উঠল খোদ তাঁর দলের অন্দরেই।
সাংসদের এই আর্জিতে তাঁদের যে সায় নেই, ঘরোয়া আলোচনায় সেই কথা বলতে শুরুও করে দিয়েছেন বিজেপির জেলা শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেই। যদিও সাংসদের দাবি, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার করেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে দলের অন্দরে কোন বিতর্ক নেই।
গত রবিবার থেকেই আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লার সঙ্গে পুলিশের সংঘাত শুরু হয়। ওইদিন শ্রমিকদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করতে বন্ধ বান্দাপানি চা বাগানে রওনা হন সাংসদ। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি না থাকার অভিযোগে বীরপাড়ায় রেতির জঙ্গলে সাংসদের পথ আটকায় পুলিশ। ফলে সেখান থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয় পুলিশ। পরের দিন সাংসদের বিরুদ্ধে বীরপাড়া থানায় লকডাউন ভাঙার অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা তাকে গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগ তোলেন সাংসদ।
আলিপুরদুয়ার জেলার পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা লকডাউন কার্যকর করতে ব্যর্থ বলে অভিযোগ তুলে সরব হন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে তার সংসদীয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ও আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েনেরও আর্জি জানান সাংসদ। এই আর্জি নিয়েই বিজেপির অন্দরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বিজেপির জেলা শীর্ষ নেতাদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, দলের তরফে রাজ্যের শীর্ষ নেতারা অনেকদিন থেকেই পশ্চিমবঙ্গে ৩৫৬ ধারা জারির দাবি তুলছেন। সেখানে দলেরই এক সাংসদের ১৪৪ ধারা চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠানোটা শিশুসুলভ আচরণ ছাড়া আর কিছুই নয়। বিজেপির ওই নেতাদের অভিযোগ, অমিত শাহকে চিঠি পাঠানোর আগে তিনি জেলা নেতাদের কারও সঙ্গে আলোচনা পর্যন্ত করেননি।
যে অভিযোগের কথা অবশ্য মেনে নিয়েছেন সাংসদ। তবে সাংসদ বলেন, আমার সংসদীয় এলাকার পরিস্থিতি দেখে ১৪৪ ধারা জারি করা প্রয়োজন বলে মনে হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে উত্তরবঙ্গের আরেক সাংসদের সঙ্গে কথা বলি। তিনিও আমায় সমর্থন করেন। তাই অমিত শাকে চিঠি পাঠাই।