ছবি: পিটিআই।
ধর্মস্থান খোলার বিষয়ে ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রও। কিন্তু একই ক্ষেত্রে রাজ্যের ছাড় দেওয়া নিয়ে বিতর্ক বাধাতে চাইলেন বিজেপির রাজ্য সভপতি দিলীপ ঘোষ। কেন্দ্র ও রাজ্য একই ছাড় দিলেও কেন রাজ্যকে নিয়েই তাঁর প্রশ্ন, তার কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যাও মেলেনি বিজেপি সভাপতির কাছে।
দিলীপবাবু রবিবার বলেন, ‘‘ইদ, নববর্ষ, রামনবমী চলে গেল। মুখ্যমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করলেন না। এখন সব উৎসব শেষ। এখন উনি ধর্মস্থান খুলতে বলছেন কেন?’’ কেন্দ্রও ধর্মস্থান খোলায় ছাড় দিয়েছে। তা হলে শুধু রাজ্যকে নিশানা কেন? দিলীপবাবুর যুক্তি, ‘‘কেন্দ্র শুধু ছাড় দিয়েছে। কাউকে ধর্মস্থান খুলতে বাধ্য করেনি। কারও ইচ্ছে হলে খুলতে পারে। কিন্তু এ রাজ্যে মন্দির খোলার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।’’ উদাহরণ হিসাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘কালীঘাটের মন্দির খুলতে রাজ্য সরকার চাপ দিচ্ছে। ওখানকার পাণ্ডা-পুরোহিতেরা সংক্রমণের ভয়ে এখন মন্দির খুলতে চান না। কিন্তু ভয়ে সরকারকে কিছু বলতে পারছেন না। তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।’’
কালীঘাটের মন্দির কর্তৃপক্ষ অবশ্য দিলীপবাবুর ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কালীঘাটের মন্দির কমিটির তরফে কল্যাণ হালদার বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার আমাদের মন্দির খুলতে কোনও চাপ দেয়নি। দিলীপবাবুদের সঙ্গেও মন্দির কমিটির তরফে যোগাযোগ করা হয়নি। দিলীপবাবু ওই কথা বলে থাকলে নাটক করেছেন।’’ করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা যথাসম্ভব এড়িয়ে কী ভাবে মন্দির খোলা যায়, তা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে বলে কল্যাণবাবু জানান।
আরও পড়ুন: দাঙ্গাহাঙ্গামা নিয়ে অমিতকে পাল্টা বিঁধলেন অভিষেক
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত আরও ৮০০০, সতর্ক করলেন মোদীও