West Bengal Lockdown

৫৬ লক্ষ ‘ফুড কুপনে’ ২৭,৬১০ টন খাদ্যশস্য

গ্রামীণ এলাকায় ডিজিটাল রেশন কার্ড ছাপা হলেও তা এখনও হাতে পাননি ৪৫,৬৮,৪০১ জন।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২০ ০৫:৩৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

আবেদন করেছিলেন অথচ এখনও হাতে পাননি রেশন কার্ড। সেই সব আবেদনকারীদের রেশনের জন্য ‘ফুড কুপনের’ ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। গ্রামীণ এবং শহুরে এলাকা মিলিয়ে ৫৬,০৩,১৫৪ জন 'ফুড কুপন' পেতে চলেছেন বলে খবর। সে ক্ষেত্রে প্রায় ১১,০৭১ টন চাল এবং প্রায় ১৬,৫৩৯ টন গমের প্রয়োজন পড়ছে বলে খাদ্য দফতর সূত্রের খবর।

Advertisement

গ্রামীণ এলাকায় ডিজিটাল রেশন কার্ড ছাপা হলেও তা এখনও হাতে পাননি ৪৫,৬৮,৪০১ জন। আর ৯,২৬,৭৩৯ জনের আবেদন গ্রাহ্য হয়েছে। তবে এই সব গ্রাহকদের কার্ড অবশ্য ছাপার কাজ শুরু হয়নি। সব মিলিয়ে গ্রামীণ এলাকায় প্রায় ৫৪ লক্ষ আবেদনকারী ‘ফুড কুপনের’ মাধ্যমে চাল এবং গম পাবেন। শহুরে এলাকায় অবশ্য রেশন কার্ডের চাহিদা কম। সেখানে কার্ড ছাপা হলেও হাতে পাননি প্রায় ৫ লক্ষ ৮০ হাজার জন গ্রাহক। আবেদন গৃহীত হলেও ছাপানো না-হওয়ায় কার্ড হাতে পাননি প্রায় ১ লক্ষ ৩৯ হাজার জন। দু’টি ক্ষেত্র মিলিয়ে সংখ্যাটি প্রায় ৭ লক্ষ ১৯ হাজার। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আবেদনকারী রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা-১ বিভাগের।

গ্রামীণ এবং শহুরে এলাকা মিলিয়ে রেশন কার্ড হাতে না পাওয়া গ্রাহক ৬২,১৫,০১৩ জন। তার মধ্যে ৬,১১,৮৫৯ জন গ্রাহকের কার্ড বিভাগ বদলাবে। যাঁরা এত দিন রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা-২ বিভাগের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, নতুন কার্ডের পরে তাঁরা রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা-১-এর আওতাভুক্ত হবেন। তাই ৬,১১, ৮৫৯ জনের আবেদন এই ক্ষেত্রে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই ৫৬,০৩,১৫৪ জনকে আপাতত ‘ফুড কুপন’ দেওয়া হবে। কয়েক দিনের মধ্যে কুপন বিলির কাজ শেষ হবে বলে দাবি খাদ্য দফতরের কর্তাদের। এক কর্তার কথায়, ‘‘প্রয়োজনে সংখ্যার হেরফের হতে পারে।’’ কুপন গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দিতে বুথ লেভেল অফিসারকেও (বিএলও) আসরে নামানো হচ্ছে বলে খবর।

Advertisement

আরও পড়ুন: রেশনের সমস্যাতেও ফোন মেয়রকে

কলকাতা-সহ রাজ্যের ১৩টি জেলার জন্য সাধারণ ত্রাণে বরাদ্দ হয়েছে ১৪৫০ মেট্রিক টন চাল। বাকি জেলাগুলির জন্য খুব দ্রুত এই বরাদ্দ হবে বলে খাদ্য দফতর সূত্রে খবর। লকডাউন পর্বে কোনও মানুষ যাতে অনাহারে না থাকে, তা সুনিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনকে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই রেশন ছাড়াও প্রায়োজনে সাধারণ ত্রাণ দেওয়ার জন্যও জেলাশাসকদের নির্দেশ দেন তিনি।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement