প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে দ্বিতীয় দফার লকডাউনে রয়েছে গোটা দেশ। ওষুধ জরুরি পরিষেবার মধ্যে পড়ায় তাতে ছাড় থাকলেও কোথাও কোথাও কর্মীর অভাবে পুরো সময় ওষুধের দোকান খোলা থাকছে না। অবশ্য বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিডিএ) দাবি, ওষুধের জোগানে তেমন ঘাটতি না থাকলেও ক্রেতাদের একাংশ বিপুল পরিমাণে বাড়তি ওষুধ কেনায় কখনও কখনও কৃত্রিম সঙ্কটের সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই এক মাসের বেশি ওষুধ না কিনতে ক্রেতাদের কাছে আর্জি জানিয়েছে বিসিডিএ।
বিসিডিএ-র প্রেসিডেন্ট শঙ্খ রায়চৌধুরী শনিবার বলেন, ‘‘অনেকেই এক সঙ্গে তিন-চার মাসের ওষুধ কিনছেন। অথচ ওষুধের জোগানে এখনও এমনিতে সমস্যা নেই। কিন্তু অস্বাভাবিক কেনাকাটার জন্য কোনও কোনও দোকানে চাহিদা ও মজুতের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে সমস্যা হচ্ছে।’’
ক্রেতাদের কাছে সংগঠনের আর্জি, এক মাসের মতো প্রয়োজনীয় ওষুধ কেনা হোক। ‘শিডিউল এইচ-১’ আওতাভুক্ত ওষুধ প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে কিনতে হবে। সংশ্লিষ্ট দোকান মালিক ক্রেতাকে ওষুধ বিক্রির পরে প্রেসক্রিপশনে ‘ডেলিভার্ড’ বা ‘সাপ্লায়েড’ বলে লিখে দোকানের স্ট্যাম্প দিয়ে দেবেন।
অন্য ক্ষেত্রেও প্রেসক্রিপশন দেখাতে ক্রেতাদের কাছে আর্জি জানাচ্ছে বিসিডিএ। পাশাপাশি কোনও নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের ওষুধ না পেলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে একই জাতীয় (মলিকিউল) অন্য ওষুধ নেওয়ার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে। শঙ্খবাবু জানান, সম্প্রতি নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শিল্পমহলের বৈঠকে তাঁরা এই আর্জি জানিয়েছিলেন। তার পরে রাজ্যের পরামর্শ মতো ক্রেতাদের কাছে এই আর্জি জানিয়ে প্রচার শুরু করছে বিসিডিএ।
আরও পড়ুন: অনুমতি মেলেনি রাজ্যে ঢোকার, আটকে দম্পতি
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)