প্রতীকী ছবি
কালোবাজারি ও মজুতদারির অভিযোগে রাজ্যে গত কয়েক দিনে ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে দেশ তথা রাজ্য জুড়ে লকডাউন চলছে। সেই সুযোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্রের মজুতদারি ও কালোবাজারির ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই রাজ্য জুড়ে অভিযানে নামে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ১৪ জনকে। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার বস্তা চাল ও ১,৮০০ বস্তা গম। বস্তুত শুক্রবারই রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র জানিয়েছিলেন, জিনিসপত্রের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে কালোবাজারি বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নবান্ন সূত্রের খবর, কালোবাজারি এবং মজুতদারির অভিযোগে যে ১৪ জন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার মধ্যে দু’জন উত্তর কলকাতার বাসিন্দা। শুক্রবার রাতে সন্তোষ আগরওয়াল এবং আমির আনসারি নামে দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে কলকাতার কাশীপুর থানার পুলিশ। পরে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ইবি) ধৃত ধৃতদের জেরা করে কাশীপুরের একটি গুদাম থেকে বাজেয়াপ্ত করে ৩৪২টি চালের বস্তা। যার বাজারমূল্য প্রায় ২ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা। মুর্শিদাবাদের লালগোলাতেও চাল ও গম মজুতের অভিযোগে বৃহস্পতিবার দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল সেখানকার পুলিশ। মুর্শিদাবাদের দুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয় ৬০০ বস্তা চাল ও ১ হাজার ৮০০ বস্তা গম। পুলিশ জানায়, বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রামের বাসিন্দা দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কালোবাজারি রুখতে বেশি দাম নেওয়া ২৭টি দোকানের তালিকা প্রকাশের কথা জানিয়েছে্ন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত। কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন জেলাতেও। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, কালোবাজারির অভিযোগে তাঁরা ছ’জনকে গ্রেফতার করেছেন।
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।