৫ম থেকে সব শ্রেণিতে পাশ-ফেলের পক্ষে বঙ্গ

পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পরীক্ষা ফিরিয়ে আনতে শিক্ষার অধিকার আইনে পাশ-ফেল সংক্রান্ত সংশোধনী এনেছে কেন্দ্র। সেই অনুযায়ী আগামী শিক্ষাবর্ষেই রাজ্যে পাশ-ফেল প্রথা ফিরে আসছে শুধু পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:০৬
Share:

ফাইল চিত্র।

আইন সংশোধন করে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ-ফেল প্রথা চালু করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্য সরকার যে পঞ্চম থেকে সব শ্রেণিতেই পরীক্ষা চালু করার পক্ষে, শুক্রবার সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি এ দিন সংবাদমাধ্যমে জানান, তাঁরা পঞ্চম থেকে টানা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অর্থাৎ প্রতিটি শ্রেণিতে (পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম) পাশ-ফেল ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতেই চেয়েছিলেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে রাজ্যকে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের নির্দেশই মেনে নিতে হয়েছে।

Advertisement

পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পরীক্ষা ফিরিয়ে আনতে শিক্ষার অধিকার আইনে পাশ-ফেল সংক্রান্ত সংশোধনী এনেছে কেন্দ্র। সেই অনুযায়ী আগামী শিক্ষাবর্ষেই রাজ্যে পাশ-ফেল প্রথা ফিরে আসছে শুধু পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা যে-রকম চেয়েছিলাম, ঠিক সে-ভাবে হয়নি। সংসদে আইন বদলের পরে যা করতে বলা হয়েছে, অধিকাংশ রাজ্য সেটাই করেছে। আমরাও করেছি। এ বিষয়ে রাজ্যের হাতে ক্ষমতা দিলে রাজ্য অন্য রকম করতে পারত।’’ নতুন ব্যবস্থায় পঞ্চম বা অষ্টম শ্রেণিতে কোনও পড়ুয়া ফেল করলে তাকে দু’মাস বিশেষ ক্লাস করিয়ে আবার পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে। সেই পরীক্ষাতেও যদি সে পাশ করতে না-পারে, তা হলে তাকে থেকে যেতে হবে আগের ক্লাসেই। পার্থবাবু জানান, তাঁরা এই বিশেষ ক্লাস তিন মাস করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী দু’মাস করানো হবে।

পাশ-ফেল ফেরানোর ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী আগেই শিক্ষাবিদ, শিক্ষক সংগঠন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়েছিলেন। শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী সেই সময় পার্থবাবুর ডাকা বৈঠকে গিয়ে তাঁদের অভিমত জানিয়েছিলেন। পবিত্রবাবু পঞ্চম বা ষষ্ঠ শ্রেণির পর থেকে পাশ-ফেল চালু করার কথা তখন বলেছিলেন। এ দিন তিনি জানান, অন্তত ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে পাশ-ফেল প্রথা চালু হলে ভাল হত। তবে তার মতে, যা হয়েছে, তা মন্দের ভাল। নৃসিংহপ্রসাদবাবু শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছিলেন, পাশ-ফেল প্রথম শ্রেণি থেকেই চালু হোক। এ দিনও তিনি সেই অভিমত প্রকাশ করেছেন। ডিএসও-র রাজ্য সম্পাদক মণিশঙ্কর পট্টনায়কের দাবি, আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণি থেকেই পাশ-ফেল চালু করতে হবে। পাশ-ফেল প্রথা ফেরানোর বিরোধী ছিল বেশ কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন। তাদের যুক্তি, ধারাবাহিক নিরবচ্ছিন্ন মূল্যায়নই সব পড়ুয়ার পক্ষে আদর্শ।

Advertisement

সরকারি স্কুলশিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু মনে করেন, ধারাবাহিক নিরবচ্ছিন্ন মূল্যায়নের সঙ্গে পাশ-ফেল ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার কোনও সংঘাত নেই।

শিক্ষামন্ত্রী এ দিন জানান, পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিক স্তরের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ চলছে। বছর শেষে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement