ছবি: পিটিআই।
চলতি আর্থিক বর্ষে (২০১৯-২০) ধান সংগ্রহের মরসুমে ‘ফড়েরাজ’ আটকাতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এ বার ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পকে হাতিয়ার করতে চায় তারা। সেই জন্য ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে সুবিধা প্রাপকদের তালিকা দফতরের ওয়েবসাইটে তুলে রাখার কাজ শুরু করেছে খাদ্য দফতর। ধান সংগ্রহের সময় সেই তালিকা মেলাবে দফতর।
তাতে কী সুবিধা হবে? খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, ওই তালিকায় সংশ্লিষ্ট কৃষকের জমির পরিমাণের হিসেব থাকছে। জেলা অনুযায়ী এক বিঘায় সর্বোচ্চ কত ধান উৎপন্ন হয়, তার পরিমাণও আগেভাগেই নির্ধারণ করে থাকে কৃষি দফতর। সেই হিসেবও কৃষকবন্ধুর সুবিধা প্রাপক তালিকার পাশে থাকবে। ফলে কোনও কৃষক যদি ওই হিসেবের বাইরে ধান বেচতে আসেন, তা সহজেই ধরা পড়বে বলে মনে করছেন খাদ্য দফতরের অনেক আধিকারিক। তাঁদের দাবি, কেউ হিসেবের বাইরে ধান বিক্রি করতে পারবেন না। এমনকি কেউ যদি মনে করেন এক এলাকায় কিছুটা ধান বিক্রি করে বাকিটা অন্য এলাকায় করবেন, তা-ও হবে না। ওয়েবসাইটে তথ্য থাকায় কৃষক ধরা পড়ে যাবেন।
রাজ্যের হিসেব অনুযায়ী ৭২ লক্ষ কৃষকের মধ্যে ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে সুবিধা প্রাপকের সংখ্যা প্রায় ৪০ লক্ষ। সেই তালিকা খাদ্য দফতরের হাতে আছে। স্বয়ংক্রিয় ধানঝাড়াই মেশিন কিনেছে রাজ্য। তাতে ধুলো আলাদা করা যাবে। ধান সংগ্রহ-সহ সব কিছু নিয়েই আজ, বুধবার খাদ্য দফতরে বৈঠক হওয়ার কথা।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।