আব্দুল সামাদ, খাজা মইদিন, আব্দুল সামিম ও সৈয়দ আলি নওয়াজ।
দিল্লিতে থেকে পাঠনো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতরের একটি সতর্কবার্তাকে ঘিরে গোটা রাজ্যের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের পুলিশ এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাগুলির তৎপরতা বেড়ে গিয়েছে। রাজ্য পুলিশের কাছে বার্তাটি আসে ২৪ ডিসেম্বরে। সেই বার্তায় (আইডি নম্বর-৩৬৭৪৭৯/ তারিখ-২৪/১২/২০১৯) বলা হয়, তামিলনাড়ুর বাসিন্দা চার জন সন্দেহভাজন জঙ্গি রাজ্যে ঢুকেছে। গোয়েন্দা বার্তায় বলা হয়, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোথাও তারা নাশকতার ছক কষেছে বলে সন্দেহ। নেপাল ও বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া উত্তরবঙ্গের কয়েকটি এলাকায় এরা সক্রিয় থাকতে পারে বলে অনুমান।
বার্তা পেয়েই রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের এডিজি নীরজকুমার সিংহ প্রতিটি জেলা পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারির নির্দেশ দেন। গত দু’সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা ও নানা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। কিন্তু চার জনের খোঁজ মেলেনি।
সন্দেহভাজন চার জঙ্গির মধ্যে ৫১ বছর বয়সি খাজা মইদিন দলটির পান্ডা। তিনি আইএসের সক্রিয় সদস্য বলে গোয়েন্দাদের দাবি। গোয়েন্দা সূত্রে বলা হয়েছে, চেন্নাই লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা খাজা প্রশিক্ষিত আইএস জঙ্গি। ২০১২ সালের পর সিরিয়া থেকে ফেরে সে। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গেও তাঁর যোগসূত্র মিলেছে। মইদিনের ডান হাত বলে পরিচিত আব্দুল সামাদও একই এলাকার লোক। তার সঙ্গে লস্করের যোগাযোগ আছে বলেও জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। পুণে বিস্ফোরণের তাঁর জড়িত থাকার কিছু প্রমাণও মিলেছে।
আরও পড়ুন: বিয়ের প্রস্তাবে না, মুখে বিষ ঢেলে খুন কিশোরীকে
গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, মইদিন আর সামাদ মিলে যে যুবকদের দলে টেনেছিলেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সইদ আলি নওয়াজ ও আব্দুল সামিম। ২০১৪ সালে সুরেশ কুমার খুনে খাজা, নওয়াজ এবং সামিম গ্রেফতার করা হয়। বছরখানেক ধরে দলটি জামিনে বাইরে। ১২ ডিসেম্বরের পর থেকে তারা নিখোঁজ। রাজ্য পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি তথা উত্তরের কিছু এলাকা বরাবর জঙ্গিদের করিডর বলে পরিচিত। তাই কেন্দ্রের ওই বার্তার পর বাড়তি নজরদারি শুরু হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: অতি সক্রিয় হতে পুলিশকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর