মশাবাহিত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে শুক্রবার পাঁচটি নজরদারি দল গঠন করল স্বাস্থ্য ভবন।
ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে নড়েচড়ে বসল রাজ্য সরকার। মশাবাহিত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে শুক্রবার পাঁচটি নজরদারি দল গঠন করল স্বাস্থ্য ভবন। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গড়া হবে এই দল। শহর এবং জেলার যে সব হাসপাতালে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা বেশি, সেগুলিতে ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। বিশেষ নজর দেওয়া হবে হাওড়াতে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বিশেষজ্ঞ দলে থাকবেন এক জন চিকিৎসক, এক জন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ বা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং এক জন পদস্থ নার্স। এখন যে বিশেষজ্ঞেরা রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন, তাঁদের নিয়ে তৈরি হবে তিনটি দল। মেডিক্যাল শিক্ষকদের নিয়ে তৈরি হবে একটি দল। আর উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য আধিকারিক ও মেডিক্যাল শিক্ষকদের নিয়ে তৈরি হবে পঞ্চম দলটি।
এই পাঁচটি দল পাঁচ জায়গায় ঘুরে নজরদারি চালাবে। একটি দল নজর রাখবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। একটি দল উত্তর ২৪ পরগনার হাসপাতালগুলিতে, তৃতীয় দল নজর রাখবে হাওড়া ও হুগলির হাসপাতালগুলিতে। মু্র্শিদাবাদ ও নদিয়ার হাসপাতালগুলিতে পরিস্থিতি খতিয়ে একটি দল। পঞ্চম দলটি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং শিলিগুড়ি হাসপাতালে নজরদারি চালাবে।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, হাওড়া, হুগলির উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। এই দুই জেলার যে সব এলাকায় ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা বেশি, শুক্রবার থেকেই সেখানে জ্বরের জন্য বিশেষ ক্লিনিক খোলা হয়েছে। হাওড়ার যে সব হাসপাতালে বেশি সংখ্যক ডেঙ্গি রোগী ভর্তি রয়েছেন, সেখানে ২৪ ঘণ্টার জন্য প্লেটলেট পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। মাইক প্রচার করে, লিফলেট বিলির মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করার কাজও শুরু করেছে প্রশাসন। হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই মণ্ডল বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, জানুয়ারি থেকে সেই জেলায় মোট ১ হাজার ১৫১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন চার জন।
ডেঙ্গি রোগীকে চিহ্নিত করার জন্য শিবির খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। যাতে রোগীর অবস্থার অবনতি হওয়ার আগেই চিকিৎসা করা যায়। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন, ‘‘ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের অন্য দফতরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলছে স্বাস্থ্য দফতর। নিয়মিত বৈঠক করে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।’’ প্রবীণ চিকিৎসকেরাও হাসপাতালে ঘুরে ডেঙ্গি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছে নারায়ণ।