ফাইল চিত্র।
পুরুলিয়ার বান্দোয়ান বিধানসভায় সরকারি প্রকল্পের বিশদ বিবরণ নিয়ে পুস্তিকা, ই-পুস্তিকা ও ‘ভিডিয়ো ক্লিপ’ তৈরি করেছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রের দাবি, সে কাজকে কার্যত ‘মডেল’ হিসেবে ব্যবহার করে রাজ্যের অন্য জেলাতে সরকারি প্রকল্পের বিধানসভাভিত্তিক অবস্থা কী, উপকৃত কত—তা নথিবদ্ধ করতে সোমবার নির্দেশ দিয়েছে ‘নবান্ন’। মঙ্গলবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকেরা জানিয়েছেন, নির্দেশের ভিত্তিতে কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু ঘটনায় কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা বিজেপি সভাপতি শমিত দাশের কথায়, ‘‘বিধানসভা ভোটের আগে ফের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে তৃণমূল তারই প্রস্তুতি নিচ্ছে।’’ অভিযোগ মানেনি তৃণমূল।
‘সুশাসনের বান্দোয়ান’ নামের ওই পুস্তিকায় রাজ্যের জঙ্গলমহলের এলাকা বলে পরিচিত বান্দোয়ান বিধানসভার প্রত্যন্ত গ্রামে ‘মাটির সৃষ্টি’, ‘ঊষরমুক্তি’, ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মাধ্যমে অপুষ্টি দূরীকরণের মতো সরকারি প্রকল্পের অবস্থা এবং উপকৃতদের কথা তুলে ধরা হয়েছে। মঙ্গলবার সে সংক্রান্ত ‘ভিডিয়ো ক্লিপ’ দেখানো হয়েছে ব্লক অফিস, পঞ্চায়েত এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের।
মানতে নারাজ বিজেপির পুরুলিয়ার জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, ‘‘এটা সরকারি অর্থে শাসক দলের প্রচার!’’ তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর পাল্টা দাবি, ‘‘তৃণমূলের সরকার কী ভাবে মানুষের কাছের সরকার হয়ে উঠেছে, এই পুস্তিকায় তারই প্রতিফলন ঘটেছে। মানুষের কল্যাণের কাজগুলি বিজেপির চোখে পড়ে না। ওরা অপপ্রচার করতে ভালবাসে।’’