প্রতীকী ছবি।
সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়ছে সেটা স্পষ্ট। তাই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার প্রকৃত চিত্র জানতে করোনা পরীক্ষার উপর জোর দিল স্বাস্থ্য দফতর। শহর, জেলার মেডিক্যাল কলেজ থেকে চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সমস্ত জেলাকে দৈনিক আরটিপিসিআর এবং র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিল স্বাস্থ্য ভবন।
৩ জানুয়ারি থেকেই সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য সকলকে জোর দিতে বলেছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। সংক্রমণের সংখ্যা দ্রুত যখন বৃদ্ধি পায়, তখন আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধিতে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল রাজ্যকে। পাশাপাশি সরকারি স্তরে কেন পরীক্ষা কম হচ্ছে তা নিয়েও কয়েক দিন আগে উষ্মা প্রকাশ করেছিল স্বাস্থ্য দফতর।
সূত্রের খবর, নাইসেড, এসএসকেএম, স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন-সহ শহর ও জেলার যে ২৬টি হাসপাতালে নিজস্ব আরটিপিসিআর পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে সবমিলিয়ে মোট দৈনিক লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে ২৫ হাজার। এক একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের সঙ্গে সংলগ্ন জেলাকে যুক্ত করা হয়েছে। যেমন, সব থেকে বেশি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। দুটি জায়গাতেই প্রতিদিন ১৫০০টি করে নমুনা পরীক্ষা করার কথা জানানো হয়েছে। আবার এসএসকেএমে ১৪০০, নাইসেড ও স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন, ডায়মন্ড হারবার, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদহ মেডিক্যাল কলেজে দৈনিক ১২০০ করে পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ২৭টি জেলা (স্বাস্থ্য জেলা-সহ) এবং কলকাতা পুরসভাকেও দৈনিক র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেই সংখ্যাটি হল ৩০ হাজার। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘আরটিপিসিআর এবং র্যাপিড অ্যান্টিজেন মিলিয়ে রাজ্যে সরকারি স্তরে দৈনিক ৫৫ হাজার পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর থেকে করোনা-আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা বোঝা সম্ভব হবে।’’