মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
এ বারের স্বাধীনতা দিবসে করোনা-যোদ্ধাদের বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার। স্বাধীনতা দিবসের সকালে রেড রোডে অনাড়ম্বর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে কয়েক জন করোনা-যোদ্ধাকে সম্মান জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলে রাজভবনের অনুষ্ঠানে কয়েক জনকে সম্মান জানাতে চান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও।
এ বারের স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ হবে খুবই সংক্ষিপ্ত এবং আনুষ্ঠানিক। সেখানে প্রতীকী ভাবেই করোনা-যোদ্ধাদের এই সম্মান জানানো হবে। মুখ্যমন্ত্রীর জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরে পুলিশের একটি ছোট দল জাতীয় পতাকাকে অভিবাদন জানাবে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্কের প্রয়োজন জানিয়ে একটি ট্যাবলো সাজানো হবে। বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রতিনিধি হিসেবে থাকবে আরও একটি ছোট বাউল দল। সরকারি সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সতর্কতা রাখতেই গোটা কর্মসূচি মিনিট ১৫-২০ চলবে।
করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে থাকা যোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা একটি গান তৈরি করেছেন। করোনা-যোদ্ধাদের ভূমিকা মনে করিয়ে গানে তিনি লিখেছেন, ‘করোনা চলে যাবে, যাবেই এক দিন/ কোভিড যোদ্ধাদের মনে রেখো’। মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ও সুরে তৈরি এই গানটি ১৫ অগস্ট অনুষ্ঠান-স্থলে বাজানো হবে। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান-সূচি নিয়ে রাজ্যপাল ধনখড়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে। ওই দিন রাজভবনের চা-চক্র ও অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে নবান্ন সূত্রে খবর, রাজভবনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে এখনও কোনও বার্তা আসেনি। সূত্রের দাবি, রাজ্যপালের সঙ্গে ফোনে মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘ কথাবার্তা হয়েছে। তাতে করোনা পরিস্থিতিতে রাজভবনের অনুষ্ঠানে বেশি লোকসমাগম যাতে না হয়, সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্বাধীনতা দিবসে এ বার রাজভবনের অনুষ্ঠান আয়োজন কোথায়, কী ভাবে হবে, তা সংশ্লিষ্ট রাজ্যপালের বিবেচনা অনুযায়ী ঠিক করতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরেই ধনখড় জানান, সংখ্যায় কম হলেও তিনি অভ্যাগতদের ডাকবেন। সেখানেই সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে করোনা-যোদ্ধাদের সম্মানিত করা হবে।