গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
তাঁর পেয়েও রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ প্রধান সোমবার বেলা ১১টার মধ্যে হাজির হননি রাজভবনে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে চিঠি লিখে রাজ্যের দুই শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, নির্দেশ মেনেই করোনা পরিস্থিতিতে এই পদক্ষেপ করছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল এ বার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং ডিজি মনোজ মালব্যর কাছে জানতে চাইলেন, কার কাছ থেকে তাঁরা ওই নির্দেশ পেয়েছেন।
গত শুক্রবার ঝাড়গ্রামের নেতাইয়ে শহিদ দিবসের পূর্বঘোষিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় ঝিটকা জঙ্গলের কাছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আটকে দেয় পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানান শুভেন্দু। আদালতের অনুমতি নিয়ে নেতাই যাওয়ার পথে বিরোধী দলনেতাকে কেন আটকে দেওয়া হল, তার কারণ জানতে চেয়ে মুখ্যসচিব এবং ডিজি-কে সোমবার বেলা ১১টা থেকে রাজভবনে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল।
কিন্তু হরিকৃষ্ণ এবং মনোজ রাজভবনে না গিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লিখে যানান। আমলাদের অনেকেই সংক্রমিত হয়ে বিচ্ছিন্নবাসে। অন্যদের উপর কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং গঙ্গাসাগর মেলা আয়োজনের গুরুদায়িত্ব রয়েছে। তাই নির্দেশ মতো তাঁরা রাজভবনে যাননি। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে নেতাই নিয়ে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে বলে জানান তাঁরা।
এই জবাবে খুশি না হয়ে সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে রাজ্যের দুই শীর্ষ আধিকারিকের কাছে কৈফিয়ত তলব করেছেন রাজ্যপাল। টুইটারে লিখেছেন, ‘বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর সঙ্গে খারাপ আচরণ। ‘নির্দেশ পেয়ে’ রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যসচিব এবং ডিজি-র বৈঠক বাতিলের ঘটনায় হতবাক। সেই নির্দেশ কার ছিল, বিকেল ৫টার মধ্যে তাঁদের জানাতে বলা হয়েছে।’