(বাঁ দিক) সিভি আনন্দ বোস। (মাঝখানে) ওমপ্রকাশ মিশ্র। (ডান দিকে) শুভেন্দু অধিকারী। — ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের মাঝেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে এই তদন্ত আদৌ কতটা কার্যকরী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য গ্রেফতার হওয়ার পর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ওমপ্রকাশের বিরুদ্ধে জমি হস্তান্তরে দুর্নীতি, শিক্ষক ও কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে বেনিয়ম-সহ একাধিক অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। তদন্ত করবেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অন্তর্বর্তী উপাচার্য সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায়। ২৮ জুন কর্মসমিতির বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। অন্তর্বর্তী উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। বর্তমান উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে ছ’মাস উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন ওমপ্রকাশ।
এই তদন্ত প্রসঙ্গে ওমপ্রকাশ বলেছেন, ‘‘খুবই ভাল কথা। শিক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করতে আচার্যের চক্রান্ত প্রকাশ্যে আনার ভূমিকায় আমি অন্যতম। আমার জুনিয়র কেউ তদন্ত করবে না কি? আমি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছি। ওঁর এক্তিয়ারে তদন্ত করার ক্ষমতা থাকলে করবেন।’’ সূত্রের খবর, রাজ্যের আরও এক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে এখনই এই বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ তিনি।
রবিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে এই সংক্রান্ত বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নন্দীগ্রাম বিধায়ক বলেন, ‘‘আচার্য হিসেবে মহামান্য রাজ্যপালের কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করান। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বা অন্য কাউকে দিয়ে তদন্ত করালে তার ফলাফল ওমপ্রকাশ মিশ্রর পক্ষেই যাবে। এটা কঠিন হলেও বাস্তব। আমি এ সব চটকদারিতে নেই। আমি সবসময় বলি আউটকামটা কী? অর্থাৎ ফলাফলটা কী? কার ঘাড়ে কটা মাথা আছে ওমপ্রকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেবে?’’ প্রসঙ্গত, ওমপ্রকাশ রাজ্য রাজনীতির এক পরিচিত নাম। অধ্যাপনার পাশাপাশি, দীর্ঘ সময় জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর শুভেন্দুর হাত ধরেই তিনি তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন।