অবিলম্বে ৩৪ হাজার পদে নিয়োগ একই সঙ্গে, ঘোষণা মমতার

মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় জানান, রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে বহু কর্মী অবসর নেওয়ায় পদ খালি হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৯ ০৩:৩৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

অফিসার থেকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ৩৪ হাজার পদ খালি। সেই সব শূন্য পদই অবিলম্বে এবং একসঙ্গে পূরণ করার কথা বুধবার বিধানসভায় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জন্য গুটিয়ে ফেলা স্টাফ সিলেকশন কমিশন নতুন করে গড়া হবে। মমতা বলেন, ‘‘বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে দ্রুত ওই সব পদ পূরণ করা হবে।’’

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় জানান, রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে বহু কর্মী অবসর নেওয়ায় পদ খালি হয়েছে। এখন ৩৩ হাজার ৬৮৭ পদ ফাঁকা। তার মধ্যে ১৮ হাজার ৫২৭টি পদ অসংরক্ষিত। অসংরক্ষিত পদের ১০% আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা সাধারণ শ্রেণির জন্য রাখা থাকবে। অসংরক্ষিত পদের পাশাপাশি সংরক্ষিত থাকবে ১৫ হাজার ১৬০টি পদ। তার মধ্যে তফসিলি জাতির জন্য ৭৪১১, তফসিলি জনজাতির জন্য ২০২১ এবং ওবিসি বা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য ৫৭২৮টি পদ সংরক্ষিত থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘গ্রুপ এ’ ‘গ্রুপ বি’, ‘গ্রুপ সি’ এবং ‘গ্রুপ ডি’ মিলিয়েই প্রায় ৩৪ হাজার পদ ফাঁকা। ওই সব পদে অফিসার থেকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের একসঙ্গেই যাতে নিয়োগ করা যায়, সরকার সেই চেষ্টা চালাচ্ছে।

নবান্নের খবর, পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) থেকে সচিবালয়ের গ্রুপ এ, গ্রুপ বি এবং গ্রুপ সি-র অফিসার ও কর্মী-পদে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের পদ পূরণ করতে গিয়ে সারা বছরে পিএসসি বেশি পদে নিয়োগ করতে পারে না। সেই জন্যই ক্ষমতায় আসার পরে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র কর্মী নিয়োগের জন্য আলাদা স্টাফ সিলেকশন কমিশন (এসএসসি) তৈরি করেছিল তৃণমূল সরকার। কিন্তু খাদ্য-সহ কয়েকটি দফতরের নিয়োগ করতে গিয়েই এসএসসি অনেক সময় নিয়ে নেয়। গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের কাজও শেষ করতে পারেনি তারা। পরে এসএসসি-ই তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

অর্থ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন প্রায় ৩৪ হাজার পদে একসঙ্গে নিয়োগ করতে হলে পিএসসি-র পক্ষে সেই কাজ করা সম্ভব নয়। তাই আবার আইন প্রণয়ন করে নতুন এসএসসি তৈরি করতে হবে। কারণ, গ্রুপ ডি নিয়োগের বিশেষ বোর্ড থাকলেও দ্রুত অফিসার-করণিক নিয়োগ করতে হলে এসএসসি-ই একমাত্র পথ।

অর্থ দফতরের বক্তব্য, ৩৪ হাজার নতুন পদে নিয়োগ হলে সরকারের ঘাড়ে বিপুল টাকার বেতনের বোঝা চাপতে পারে। এখন সরকারি কর্মীর সংখ্যা সওয়া তিন লক্ষ। তার উপরে আরও প্রায় ১০% নতুন অফিসার-কর্মী নিয়োগ হলে তাঁদের বেতন বাবদ বার্ষিক খরচ তিন হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে পারে। কর্মচারী মহলের একাংশের অভিমত, নতুন বেতন কমিশনের সম্ভাব্য সুপারিশ অনুযায়ী বর্তমান কর্মীদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সংশয় তৈরি হল।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement