নেট সুরক্ষায় অডিট রাজ্যে

পুলিশের ইনস্পেক্টর পদের তলার অফিসার ও কর্মীদেরও সাইবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। মোট ৪০০টি থানাকে বেছে নেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৯ ০৪:১২
Share:

প্রতীকী ছবি।

নিজেদের ওয়েবসাইটগুলির সাইবার সুরক্ষা সংক্রান্ত অডিট করাবে রাজ্য সরকার। শুক্রবার শহরে সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে ওই কথা জানান রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি সচিব দেবাশিস সেন। তিনি জানান, অডিট করাতে বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে নিয়োগ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের সব দফতরকে ‘ইন্টারনেট প্রোটোকল’ উন্নত করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

দেবাশিসবাবু আরও জানান, পুলিশের ইনস্পেক্টর পদের তলার অফিসার ও কর্মীদেরও সাইবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। মোট ৪০০টি থানাকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে ২৩৬টি থানার অফিসার ও কর্মীদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

সাইবার বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, বর্তমানে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে সাইবার নিরাপত্তার সব থেকে বড় বিপদ হচ্ছে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ)। কারণ, অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে গ্রাহকের তথ্য দিতে হয়। সেই তথ্য অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি ফেসঅ্যাপ নামে একটি অ্যাপের ক্ষেত্রেও একই আশঙ্কার কথা বলা হয়েছিল।

Advertisement

এ দিন আয়োজক সংস্থার চেয়ারম্যান সুশোভন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অ্যাপ ব্যবহারের আগে সুরক্ষা বিধি যাচাই করা উচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় না-জেনেবুঝে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার উচিত নয়। কোন অ্যাপ কী কী তথ্য জানতে চাইছে তা-ও খতিয়ে দেখা উচিত।’’

সেলুলার অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া-র ডিজি রাজেন ম্যাথুজ় বলেন, ‘‘মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ৪৫ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তার মাত্র ১০ শতাংশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মোবাইলে অ্যান্টিভাইরাস বা ফায়ারওয়াল রয়েছে।’’ যদিও সাইবার বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, অনেকেই আলাদা করে অ্যান্টিভারাস কেনেন না। ইদানীং স্মার্টফোনে নির্মাতা সংস্থাই তো গুগল বা ফেসবুকে ‘লোড’ করে দেন। সে ক্ষেত্রে সংস্থাগুলিকে নিজস্ব অ্যান্টিভাইরাস দেওয়ার ব্যাপারেও বলা উচিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement