প্রতীকী চিত্র।
রাজ্য সরকার একটি চাটার্ড বিমান ভাড়ায় নিতে পারে বলে অতীতে শোনা গিয়েছিল। তবে এ বার পরিবহণ দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে হেলিকপ্টার ভাড়ার জন্য দরপত্র চেয়েছে। আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে আগ্রহী সংস্থাকে দরপত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কমপক্ষে ছ’জন বসতে পারেন, এমন হেলিকপ্টার নেওয়া হবে। ভিআইপিরা সফর করতে পারেন এমন সুবিধাযুক্ত ওই চপার হতে হবে দুই ইঞ্জিনের। বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরের জন্য ভাড়া নেওয়া হেলিকপ্টারটি মাসে ৪৫ ঘণ্টা পর্যন্ত চালাতে চায় রাজ্য সরকার।
গত ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে এটাও বলা হয়েছে যে ‘ওয়েট লিজ’ পদ্ধতিতে হেলিকপ্টার ভাড়া নিতে চায় রাজ্য। আকাশপথে পরিবহণের ক্ষেত্রে বিমান কিংবা হেলিকপ্টার লিজ নেওয়া যায় দুই পদ্ধতিতে। একটি ‘ওয়েট’ ও অপরটি ‘ড্রাই’। রাজ্য সরকার ‘ওয়েট’ লিজ নিতে চায়। এতে যে সংস্থা চপার ভাড়া দেবে, তাদের দায়িত্বেই থাকবে চালক ও অন্যান্য কর্মীর ব্যবস্থা করার বিষয়টি। চপারটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও থাকবে ওই সংস্থার উপরে।
দরপত্র চাওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের পক্ষে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টারটি পুরনো হতে পারে। তবে সেটা আট বছরের বেশি যেন না হয়। সেই সঙ্গে আকাশপথে সফরের জন্য যা যা নিয়ম রয়েছে, সেগুলি যেন ওই সংস্থা মেনে চলে। এ ব্যাপারে কোনও দায়িত্বই রাজ্য সরকার নেবে না। রাজ্য পরিবহণ দফতরের ফ্লাইং ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টরের নির্দেশ মতো রাজ্য সরকারের প্রয়োজনে হেলিকপ্টারটি চালাতে হবে।
রাজ্য সরকার কোনও নির্ভরযোগ্য সংস্থার থেকেই হেলিকপ্টার ভাড়া নিতে চাইছে। সে কারণে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে সেই সব সংস্থাই দরপত্র পাঠিয়ে আবেদন করতে পারবে, যারা গত তিন বছরে কমপক্ষে ২৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। শুধু তাই নয়, ওই সংস্থার কাছে অতিরিক্ত হেলিকপ্টারও থাকতে হবে। কারণ, যদি কোনও কারণে ভাড়া নেওয়া চপারটি পরপর তিন দিনের জন্য কাজ করতে না পারে, তবে সরকার চাইলে বিনা খরচে অন্য হেলিকপ্টার ব্যবহারের জন্য দিতে হবে। মাসে সর্বাধিক দু’দিনের জন্য হেলিকপ্টারটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ছাড়া হবে। প্রথমে পাঁচ বছরের জন্য নেওয়া হলেও পরে আরও দু’বছরের জন্য চুক্তি বাড়ানো হতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে রাজ্য।