শুরুতেই হোঁচট বাস ডিপোর ছাদ বিক্রিতে

পত্রের খবর, কলকাতার পাঁচটি ডিপোর জমি লিজ চুক্তির মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

অত্রি মিত্র

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি।

শুরুতেই ধাক্কা!

Advertisement

রাজ্যের পরিবহণ নিগমগুলির উপরে ভর্তুকির বোঝা কমাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বিভিন্ন বাস ডিপোর উদ্বৃত্ত জমি দীর্ঘমেয়াদি লিজ চুক্তির মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া হবে। কিন্তু সব জমি বিক্রি হয়ে গেলে বাস কোথায় রাখা হবে, সেই প্রশ্ন ওঠে পরিবহণ দফতরের অন্দরেই। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কিছু ক্ষেত্রে ডিপো রেখে তার ছাদ (রুফ টপ) লিজ চুক্তির মাধ্যমে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে। এ বার সেই পরীক্ষাতেও ডাহা ফেল পরিবহণ দফতর।

পত্রের খবর, কলকাতার পাঁচটি ডিপোর জমি লিজ চুক্তির মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। কালীঘাট, খিদিরপুর, গ্যালিফ স্ট্রিট, টালিগঞ্জ ও বেলগারিবহণ দফতর সূছিয়া ডিপোর ৩৫০ কাঠা জমি ছেড়ে সরকারের আয় হয় ২৩০ কোটি টাকা। তার পরেই ওই প্রশ্ন ওঠায় ডিপোগুলির ছাদ বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। কী ভাবে ছাদ বিক্রি হবে, তা বুঝতে পরিবহণ-কর্তাদের এক প্রতিনিধিদল মুম্বই এবং বেঙ্গালুরু গিয়ে স্বচক্ষে এমন ভাবনা দেখে আসেন। গড়িয়ার ৫ নম্বর বাস ডিপোর একতলায় বাস রেখে তার উপর থেকে বাণিজ্যিক ভাবে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য ইচ্ছুকপত্রও প্রকাশ করে সরকার। কিন্তু তার পরে একাধিক বার তারিখ বাড়িয়েও বিনিয়োগকারীদের থেকে সে রকম সাড়া না মেলায় ওই জমি বিক্রির ভাবনা আপাতত শিকেয় তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহণ দফতর।

Advertisement

কেন বিনিয়োগকারীদের নজর কাড়তে পারল না এই প্রস্তাব?

পরিবহণ দফতরের কর্তাদের বক্তব্য, সারা দেশেই নির্মাণ-ব্যবসায় মন্দার হাওয়া চলছে। তা ছাড়া, জমিতে ডিপো রেখে তার উপরে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য কাঠামো তৈরির নকশার কাজও যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। লগ্নিকারীদের মতে, বাস ডিপো থাকলে ‘রুফ টপ’ ব্যবস্থায় জমি বিক্রির সিদ্ধান্তই তাঁদের প্রধান অনীহার কারণ। এক বিনিয়োগকারীর বক্তব্য, ‘‘ছাদের উপরে নির্মাণ করলে একাধিক বহুতল তৈরির সুযোগ নেই। আবাসন করারও বিশেষ সুযোগ নেই।’’

একে আবাসন শিল্পে সার্বিক মন্দা। তার উপরে এমন জটিল প্রস্তাবে তাই সাড়া দেননি বিনিয়োগকারীরা— এমনটাই দাবি বণিক মহলের। সব দেখেশুনে পরিবহণ-কর্তারা বলছেন, ‘‘আপাতত আমরা ‘রুফ টপ’ বিক্রির ভাবনা থেকে সরে এসেছি। দফতরের অন্দরে বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা করে তার পরেই এ ব্যাপারে কী করা যায়, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement