পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রায় ১১ হাজার নতুন পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
নতুন এই পদের মধ্যে ন’হাজারই অবশ্য পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। এর মধ্যে তিন হাজার জওয়ান নেওয়া হবে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (র্যাফ)-এ। রাজ্যের যুক্তি, বিভিন্ন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে যাতে কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে না হয়, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
শুক্রবার বিধানসভায় রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যখনই কোনও প্রয়োজন হয়, কেন্দ্র নিরাপত্তা বাহিনী দিতে অনীহা প্রকাশ করে। সে জন্য র্যাফ-এ তিন হাজার নতুন পদ পূরণের জন্য লোক নেওয়া হবে।’’ এই কর্মী নিয়োগ শিলিগুড়ি, দুর্গাপুর ও ব্যারাকপুর ব্যাটেলিয়নের জন্য হবে। বসিরহাট ও বারাসত পুলিশ জেলার জন্য মোট দু’হাজার পুলিশকর্মী নিয়োগ হবে।
এ ছাড়াও, ৫৩০০ কনস্টেবল এবং ৮০০ সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে এ দিন। এই কনস্টেবল ও সাব ইন্সপেক্টরের মধ্যে ১০ শতাংশ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হবে। এ ছাড়াও আইন, স্বরাষ্ট্র, ই-গভর্ন্যান্স, উচ্চশিক্ষা, আদিবাসী উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন দফতরে ৩৬৭৩ জন কর্মী নিয়োগ হবে। সরকারি চারটি পলিটেকনিক কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শূন্য পদেও নিয়োগ করা হবে বলে এ দিন সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১৩৭টি পদে কর্মী নিয়োগ হবে। শুধু কর্মী নিয়োগ নয়, আদিবাসী উন্নয়ন দফতরে বর্তমানে সহায়ক এবং সুপারভাইজার পদে কর্মরতদের বেতনবৃদ্ধি করা হবে বলে পার্থবাবু জানান।
একগুচ্ছ নিয়োগে সায় ছাড়াও বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। সেগুলি হল-সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে ১৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন বাড়ানো, ঝাড়গ্রাম জেলাকে বেলপাহাড়ি, গোপীবল্লভপুর ও ঝাড়গ্রাম সদর— এই তিনটি মহকুমায় ভাঙা।
দু’দিন পরেই রামনবমী। ওই দিন সব মন্ত্রীকে নিজের নিজের এলাকায় গিয়ে রামনবমী ও অন্নপূর্ণা পুজোয় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার দিকে নজর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।