গীতাঞ্জলি নাম বদলে হচ্ছে বাংলার বাড়ি

ইন্দিরা আবাস যোজনা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা।এ বার ‘গীতাঞ্জলি’ হতে চলেছে ‘বাংলার বাড়ি’।কেন্দ্রের পরে গরিবদের বাড়ি তৈরির প্রকল্পের নাম বদলের রাস্তায় হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকারও। নিয়মকানুন সব একই থাকছে। শুধু ‘গীতাঞ্জলি’ প্রকল্পের নাম পাল্টানো হচ্ছে।

Advertisement

নুরুল আবসার

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৭ ০২:৫৭
Share:

ইন্দিরা আবাস যোজনা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা।

Advertisement

এ বার ‘গীতাঞ্জলি’ হতে চলেছে ‘বাংলার বাড়ি’।

কেন্দ্রের পরে গরিবদের বাড়ি তৈরির প্রকল্পের নাম বদলের রাস্তায় হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকারও। নিয়মকানুন সব একই থাকছে। শুধু ‘গীতাঞ্জলি’ প্রকল্পের নাম পাল্টানো হচ্ছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকল্পের নতুন নাম ‘বাংলার বাড়ি’ ঘোষণা করতে পারেন বলে রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর। ওই দফতরের এক কর্তা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নিজের আগ্রহেই প্রকল্পটির নতুন করে নামকরণ হচ্ছে।

Advertisement

বছর খানেক আগে কেন্দ্র সরকার ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পের নাম বদলে ছিল। নতুন নামে ওই প্রকল্পের কাজ চলছে। রাজ্যের গীতাঞ্জলি প্রকল্পটি চালু হয় ২০০৬ সালে, বাম আমলে। প্রকল্পটি করা হয়েছিল তৎকালীন ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পের ধাঁচেই। তবে, ইন্দিরা আবাসে বাড়ি তৈরির টাকা পেতে হলে উপভোক্তাদের যেমন বিপিএল তালিকায় নাম থাকা বাধ্যতামূলক, ‘গীতাঞ্জলি’র ক্ষেত্রে সেই নিয়ম নেই। নিজের বাড়ি তৈরির আর্থিক ক্ষমতা নেই, এই রকম মানুষদের জন্যই ওই প্রকল্প। তিনটি কিস্তিতে বর্তমানে মোট দেওয়া হয় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।

‘গীতাঞ্জলি’ প্রকল্পটি শুরুর কয়েক বছর বিধায়কদের সুপারিশের ভিত্তিতে উপভোক্তাদের টাকা দেওয়া হতো। রাজ্যে পালাবদলের পরে জেলাশাসকদের নেতৃত্বে প্রতিটি জেলায় একটি করে কমিটি গড়া হয়। যে কোনও গরিব মানুষ ওই টাকা পাওয়ার জন্য ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাতে পারেন। জেলাশাসকের নেতৃত্বাধীন কমিটি সেই আবেদন খতিয়ে দেখে ঠিক করে আবেদনকারীকে প্রকল্পের টাকা দেওয়া যাবে কিনা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement