ছবি সংগৃহীত।
বিধানসভা ভোটের আগের শেষ বাজেট তৈরির কাজ শুরু করে দিল অর্থ দফতর। ১৬ অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যের ৫০টি দফতরকে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেট প্রস্তাবের খসড়া নবান্নে পাঠাতে বলেছেন অর্থসচিব। সাধারণত, প্রতি বছর নভেম্বরে বাজেট তৈরির কাজে হাত দিয়ে থাকে অর্থ দফতর। এবার তা এক মাস এগিয়ে আনা হয়েছে। অর্থ কর্তারা জানাচ্ছেন, আগামী অর্থবর্ষে জানুয়ারিতেই বাজেট পেশ করা হতে পারে। হিসেব মতো, পূর্ণাঙ্গ বাজেট এ বার পেশ করার কথা নয়। তা মে মাসে নতুন সরকার এসে পেশ করবে এমনটাই দস্তুর। কিন্তু অর্থ দফতরের খবর, বাজেটে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব পেশ করে করে তিন মাস খরচ চালানোর অনুমতি বিধানসভা থেকে নিয়ে নেবে। তাই ভোট অন অ্যাকাউন্টস পেশ হলেও পুরো বাজেটই পড়বেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থ দফতর সূত্রের খবর, করোনা অতিমারি, টানা লকডাউন, আর্থিক কারবারে মন্দা চলায় রাজকোষের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সেই কারণে ব্যয়সঙ্কোচ নির্দেশিকা জারি করেছে অর্থ দফতর। বরাদ্দ বাজেটের সিংহভাগ ছাঁটাই করা হয়েছে। ওয়ার্কস দফতরগুলিকে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা এবং অন্য দফতরগুলিকে ১০ লক্ষ টাকার বেশি খরচ করতে হলেই অর্থ দফতরের অনুমতি নিতে হচ্ছে। ফলে ভোটের ঠিক আগের বছরে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প ব্যাপক ভাবে ধাক্কা খেয়েছে।
আগামী বছরের বাজেট প্রস্তাবেও দফতরগুলিকে আর্থিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই নতুন প্রকল্প বা খরচের প্রস্তাব করতে বলেছেন অর্থসচিব। তবে ভোটের বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছু সরাসরি উপভোক্তা তৈরির প্রকল্প নিয়ে ভাবছেন। বাজেটে তা ঘোষণা করে মার্চের মধ্যেই তার সূচনা করে দিতে চান তিনি। সেই টাকা কোথা থেকে আসবে, তা ভেবে চিন্তায় অর্থ দফতরের কর্তারা। কারণ, আগামী বাজেটে নির্বাচন পরিচালনা করতেই অন্তত ৫০০ কোটি টাকা বাড়তি খরচ হবে। তা বছরের শুরুতেই জোগাতে হবে অর্থ দফতরকে ।