ওষুধ সহ বিভিন্ন জিনিস তৈরি করার ক্ষেত্রে জৈব উপকরণ ব্যবহার করতে হলে পশ্চিমবঙ্গ জীববৈচিত্র পর্ষদের অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। প্রতীকী ছবি।
ওষুধ, প্রসাধনী, সুগন্ধী-সহ বিভিন্ন জিনিস তৈরি করার ক্ষেত্রে রাজ্যের পরিধির মধ্যে বাণিজ্যিক ভাবে জৈব উপকরণ ব্যবহার করতে হলে পশ্চিমবঙ্গ জীববৈচিত্র পর্ষদের অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু, সেই নিয়মই লঙ্ঘিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। পর্ষদের অনুমোদন ছাড়া জৈব উপকরণ ব্যবহার করলে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি নিয়মভঙ্গকারীদের জেলও হতে পারে। বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের জীববৈচিত্র আইন অনুযায়ী তো এই পদক্ষেপ করার ক্ষমতা পর্ষদের রয়েছেই। তা হলে নতুন ভাবে এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করার কথা বলা হচ্ছে কেন?
এ ব্যাপারে পর্ষদের চেয়ারম্যান হিমাদ্রিশেখর দেবনাথ জানাচ্ছেন, বার বার বলার পরেও যাঁরা নিয়ম ভেঙে চলেছেন, তাঁদের আটকাতেই এই পদক্ষেপ। প্রশাসন সূত্রের খবর, জৈব উপকরণ ব্যবহার করে ওষুধ, প্রসাধনী বা সুগন্ধী তৈরি করে, রাজ্যে এমন সংস্থার সংখ্যা ৪০০-র কাছাকাছি। এই উপকরণ ছাড়া তারা নিজেদের পণ্যই উৎপাদন করতে পারবে না। কিন্তু, নিজেদের বাণিজ্যিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য জৈব উপকরণ ব্যবহার করলেও অধিকাংশ সংস্থাই পর্ষদের অনুমোদন নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে না। প্রসঙ্গত, সংশ্লিষ্ট আইনে এ-ও বলা আছে, প্রস্তুতকারী সংস্থা জৈব উপকরণ বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করে যে মুনাফা করবে, তার একটি অংশ স্থানীয় এলাকা ও এলাকাবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ব্যয় করতে হবে। কিন্তু, সেই নিয়মও মানা হয় না। প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘একাধিক সংস্থাকে এ ব্যাপারে সতর্ক করে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।’’