Schools

Coronavirus in West Bengal: জোর কলেজপড়ুয়া, শিক্ষকদের টিকায়

স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে মত দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে প্রতিটি শিক্ষকের টিকা নেওয়া হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:২৮
Share:

প্রতীকী চিত্র।

পুজোর মরসুম শুরু হওয়ার আগে টিকাকরণে গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সব জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বাড়তি জোর দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। তা ছাড়াও কুপনের মাধ্যমে যে টিকাদান কর্মসূচি চলছে, তা কোনও ভাবে যাতে সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, তা-ও নিশ্চিত করতে চাইছে রাজ্য।

Advertisement

এ দিনই পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্য। গত বার পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মানা হয়েছিল। সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত এ বারের পুজো নিয়ে কোনও বিধি তৈরি না হলেও শীঘ্রই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য। জেলা প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, এ দিন নবান্নের স্পষ্ট নির্দেশ, উৎসবের মরসুম শুরু হওয়ার আগেই টিকাকরণে আরও গতি বাড়াতে হবে।

জানা গিয়েছে, স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়েও এ দিন মত দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে প্রতিটি শিক্ষকের টিকা নেওয়া হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে প্রশাসন। আবার, কলেজের ক্ষেত্রে শুধু শিক্ষক-শিক্ষিকা নয়, পড়ুয়ারাও সকলে যাতে টিকা পান সে বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন করেছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। স্বাস্থ্যকর্তারা সে বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, কলেজ খোলার পরে সেখানে গিয়ে কিংবা কাছাকাছি হাসপাতালে পড়ুয়াদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের একাংশ জানাচ্ছে, টিকার কুপন বিলি নিয়ে এখনও গোলমালের খবর আসছে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগও উঠছে। নবান্নের বার্তা, এই বিষয়গুলিকে আমল দেওয়া চলবে না। একমাত্র সরকারি আধিকারিকেরাই ঠিক করবেন, কোথায় টিকাকরণ শিবির হবে এবং কী ভাবে কুপন বিলি করে সেই কাজ এগোবে। ‘অন্য’ কারও সুপারিশ বা নির্দেশ এ ক্ষেত্রে গ্রাহ্য হবে না। এক আধিকারিকের কথায়, “আগে টিকার জোগান নামমাত্র থাকলেও এখন তা বেড়েছে। পুজোর আগে যত বেশি সম্ভব মানুষকে টিকা দেওয়া যাবে, ততই সংক্রমণের ভয় দূর হবে।”

Advertisement

সূত্রের দাবি, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়ার মতো কিছু জেলার সংক্রমণের ছবিতে খুশি হতে পারছে না নবান্ন। ফলে সেই সব এলাকার সংক্রমণ রোধে বাড়তি জোর দিতে সংশ্লিষ্ট পুরসভা ও জেলাশাসকদের বলা হয়েছে। আধিকারিকদের অনেকেই জানাচ্ছেন, রাজ্যে কোভিড চিকিৎসার পরিকাঠামো এখন উন্নত। ফলে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এবং রোগী চিকিৎসায় দায়বদ্ধ থাকতে হবে।

অল্প অল্প করে যে সমস্ত নিয়ন্ত্রণ বিধি শিথিল করা হচ্ছে সে বিষয়টিকে কী ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এ দিন তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি, স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। সূত্রের খবর, পুজোর আগে, উৎসবের সময় এবং পরে রাজ্যে কী ধরণের কোভিড আচরণ বিধি চালু থাকবে তা নিয়েও এ দিন বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেন প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কর্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement