ফাইল চিত্র।
প্রজাতন্ত্র দিবসের জন্য পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো দিল্লি ঠিক কেন বাতিল করে দিল, সেই বিষয়ে বিতর্কের অবসান হয়নি। তবে দিল্লির রাজপথে না-চললেও রাজ্যে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে সেই ট্যাবলো ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকলে ২৬ জানুয়ারি ওই ট্যাবলো কলকাতার রাজপথে দেখা যেতে পারে।
সরকারি সূত্রের খবর, দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে কন্যাশ্রী, সবুজশ্রী এবং জল ধরো জল ভরো প্রকল্পকে ঘিরে ট্যাবলো পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়নি। অর্থাৎ এ বছরও দিল্লির ওই অনুষ্ঠানে বাংলার কোনও ট্যাবলো দেখা যাবে না। প্রস্তাব বাতিল হওয়ায় নিজেদের ক্ষোভ চেপে রাখেনি তৃণমূল সরকার। প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ।
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক কর্তারা পরিকল্পনা করেছেন, দিল্লি বাতিল করলেও এ রাজ্যে প্রজাতন্ত্র দিবসে ওই সব ট্যাবলো ব্যবহার করা হবে। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘সামাজিক এবং পরিবেশগত দিক থেকে রাজ্যের ওই সব প্রকল্পের তাৎপর্য গভীর ও ব্যাপক। সাধারণ মানুষকে সতেচন করে তুলতেও যথেষ্ট সাহায্য করে এই ধরনের উদ্যোগ। ফলে দিল্লি গুরুত্ব না-দিলেও রাজ্যের কাছে এগুলির প্রাসঙ্গিকতা যথেষ্টই। তাই সব ঠিক থাকলে প্রজাতন্ত্র দিবসে এই ট্যাবলো চালানো হবে কলকাতার রাজপথে।’’
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের সময়সীমা কমবেশি ৪৫ মিনিটের মধ্যে রাখতে চাইছেন প্রশাসনিক কর্তারা। ওই দিন ট্যাবলো ছাড়াও লোকপ্রসার প্রকল্পের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবেন। একটি স্কুলও যোগ দিচ্ছে ওই অনুষ্ঠানে। তা ছাড়া এনসিসি, দমকল, কলকাতা পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর বিশেষ প্রদর্শন থাকবে কলকাতার রাজপথে। এক সরকারি কর্তা বলেন, ‘‘গত বছরেও কমবেশি এক ঘণ্টার মধ্যে গোটা অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়েছিল। এ বারেও কিছু বাদ যাচ্ছে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অতিথি-অভ্যাগতদের সামনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যের সাফল্য তুলে ধরা হবে।’’