স্কুল-কলেজের শূন্য পদ পূরণে তৎপর রাজ্য

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্যদের অবসরের বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৭০ বছর পর্যন্ত করার ঘোষণা আগেই হয়েছে। এ বার ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি ল’স (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৯’- এনে সেই অধ্যাদেশটি আইন করতে চাইছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৯ ০২:৩১
Share:

রাজ্যে বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩ হাজার ২৯৫টি শিক্ষকপদ ফাঁকা রয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন। সোমবার বিধানসভায় সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘নিয়োগ পদ্ধতির আরও সরলীকরণ করা হবে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে ৪২ হাজার ৬২১জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।’’ কিন্তু পিএইচডি বা অনেক বেশি যোগ্যতার ছেলেমেয়েরাও কেন যোগ্যতা অনুযায়ী যথাযথ চাকরি পাচ্ছেন না, আনিসুরের এই প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘৩৪ বছরের জঞ্জাল সরাতেই সময় কাটছে। কিন্তু পাহাড়প্রমাণ সমস্যা দ্রুত শেষ হয় না। এর সঙ্গে রাজ্যের ছেলেমেয়েদের অনেকেরই জেলার বাইরে চাকরি না করতে যাওয়ার প্রবণতাও রয়েছে।’’ এই মানসিকতা বদলালে নিয়োগ সমস্যা অনেকটাই কাটবে বলে শিক্ষামন্ত্রীর আশা।

Advertisement

এরই সঙ্গে স্কুল-কলেজের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষকদের বিক্ষোভ সামলাতে এ বার তাঁদের দাবিপূরণে শিক্ষা দফতর তৎপর বলেও পার্থবাবু পরে জানান। স্কুলে নিয়োগের মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ না হওয়া চাকরিপ্রার্থীরা প্রেস ক্লাবের সামনে দীর্ঘদিন অনশন করেছেন। মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র, শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকরাও বিক্ষোভ করেছেন একাধিকবার। ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষকরা বিক্ষোভ করেছেন পথে নেমে। এই ধরনের নানা সমস্যা মেটানোর পাশাপাশি কলেজের অতিথি শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষা দফতর দ্রুত পদক্ষেপ করতে চলেছে বলে বিধানসভায় নিজের ঘরে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বেশ কয়েকটি জায়গায় জটিলতা তৈরি হয়ে রয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই এই বিষয়গুলির মীমাংসা করা যাবে বলে মনে হচ্ছে। কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তাও জানিয়ে দেওয়া হবে।’’

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্যদের অবসরের বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৭০ বছর পর্যন্ত করার ঘোষণা আগেই হয়েছে। এ বার ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি ল’স (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৯’- এনে সেই অধ্যাদেশটি আইন করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এ দিন বিধানসভায় এ সংক্রান্ত বিলটি বিলি হয়েছে। পরে নিজের ঘরে শিক্ষামন্ত্রী উপাচার্যদের বয়সবৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘‘এক বারে পাঁচ বছর বাড়ানো হচ্ছে না। উপাচার্যদের কাজ পর্যালোচনা করে প্রথমে এক থেকে দু’বছর বাড়ানো হবে। সেই সময়সীমার কাজ পর্যালোচনার ভিত্তিতে ফের দু’বছর এবং শেষে এক বছর বৃদ্ধি করার সংস্থান থাকছে ওই বিলে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement