ছবি: সংগৃহীত।
লোকসভা নির্বাচনের আগেই জেলায় জেলায় সাইবার থানা খুলেছিল পুলিশ। এ বার সেই ২২টি সাইবার থানায় এক জন করে ইনস্পেক্টরকে ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক হিসেবে নিয়োগ করল রাজ্য। শুক্রবার নবান্ন থেকে এই নির্দেশ জারি হয়েছে। পুলিশের একাংশ বলছেন, সাইবার অপরাধ এমনিতেই বাড়ছে। তার উপরে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও সাইবার থানা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।
পুলিশ এবং সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, গত কয়েক বছর ধরেই সোশ্যাল মিডিয়া এবং হোয়্যাটসঅ্যাপে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ভোটের আগে থেকে এ রাজ্যেও তা বেড়েছে। ভোটের পরেও ভুয়ো খবর ছড়ানো নজরে আসছে। তার ফলেই জেলাগুলিতে এই ধরনের অপরাধের প্রবণতা রয়েছে।
রাজ্য পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘সাইবার আইনে কারও বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলে ইনস্পেক্টর পদের নীচের কোনও অফিসারকে তদন্তকারী হিসেবে নিয়োগ করা যায় না। ভোটের আগে থানা চালু হলেও কোনও ইনস্পেক্টর ছিলেন না। সার্কেল ইনস্পেক্টরকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে ওই থানার ভার সামলানো হচ্ছিল। এ বার তাই ইনস্পেক্টর নিয়োগ করা হয়েছে।’’ সাধারণ জেলা এবং প্রতিটি পুলিশ জেলায় একটি করে এমন থানা খোলা হয়েছে।
নবান্ন সূত্রের খবর, জেলায় সাইবার অপরাধ হলে এই নতুন থানা তার তদন্তভার নেবে। তবে বৃহত্তর কোনও ঘটনা ঘটলে সে ক্ষেত্রে সিআইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এত দিন যে কোনও ঘটনাতেই সিআইডিকে তদন্ত ভার সামলাতে হত। তার ফলে বহু ক্ষেত্রেই দ্রুত তদন্ত হত না। প্রতিটি সাইবার থানায় সাইবার অপরাধ তদন্তের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অন্তত ১০ জন পুলিশকর্মী রয়েছেন। রাজ্য তথ্যপ্রযুক্তি দফতর সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে পুলিশকর্মীদের বিভিন্ন দলে ভাগ করে সাইবার তদন্তের পাঠ দেওয়া শুরু হয়েছে।
জেলায় জেলায় থানা হলেও সাইবার অপরাধের তদন্তে ডিজিটাল ফরেন্সিকের মতো প্রযুক্তিগত বিষয়ের ক্ষেত্রে এখনও সিআইডির উপরেই নির্ভর করতে হবে থানাগুলিকে। কিন্তু ভবিষ্যতে জেলার সাইবার থানাগুলিতেও মোবাইলও ডিজিটাল ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে বলে খবর। এমনকি থানাপিছু ইনস্পেক্টরের সংখ্যাও বৃদ্ধি হতে পারে। ‘‘ইনস্পেক্টরের সংখ্যা না-বাড়লে এক জন অফিসারের পক্ষে একাধিক তদন্ত দ্রুত শেষ করা সম্ভব হবে না,’’ মন্তব্য সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞ এক পুলিশকর্তার।