—ফাইল ছবি
সাধারণত ভুক্তভোগীরা রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হন। এ বার কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য কমিশনে নালিশ জানাল রাজ্যের অর্থ দফতর। অভিযোগ, হাঁটু প্রতিস্থাপনে রাজ্য স্বাস্থ্য প্রকল্পে যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তার থেকে বেশি টাকা খরচ হয়েছে নিমতার এক বাসিন্দার ক্ষেত্রে। যদিও হাঁটু বদলানোর খরচ নিয়ে রোগীর পরিবার কমিশনে কোনও অভিযোগ জানায়নি। প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য প্রকল্পের কাছে দাবিকৃত টাকা মেটায় অর্থ দফতর। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে রোগীকে টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন।
রাজ্য স্বাস্থ্য প্রকল্পে হাঁটু প্রতিস্থাপনের জন্য এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। যার মধ্যে ৭৫ হাজার টাকা কৃত্রিম হাঁটুর মূল্য এবং ৫৫ হাজার টাকা হাঁটু বদলানোর প্রক্রিয়ার জন্য বরাদ্দ। কিন্তু এই হাসপাতালে রোগীর মোট বিল হয় চার লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা। স্বাস্থ্য প্রকল্প থেকে এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা মেটানোর পরেও রোগীকে তিন লক্ষাধিক টাকা দিতে হয় হাসপাতালকে। বুধবার শুনানিতে কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওযুধ সহ একাধিক খাতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে। তার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৩৫ হাজার টাকা রোগীকে ফেরত দেবে। এ ছাড়াও রোগী হাঁটু প্রতিস্থাপনের জন্য যে টাকা নেওয়া হয়েছে, তার উপর ১০ শতাংশ ছাড় দিতে হবে হাসপাতালকে। সেই টাকাও রোগীকে ফেরত দেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই রোগী প্রতিস্থাপনের জন্য দামি কৃত্রিম হাঁটু বাছাই করেছিলেন। সে জন্যই অতিরিক্ত বিল হয়েছে।
বুধবার অন্য একটি মামলায় পুলিশি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। উত্তর ২৪ পরগণার এক অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা প্রদানকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান জনৈক মঞ্জিমা সরকার। তাঁর অভিযোগ, হাবড়া থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে পার্ক সার্কাসের এক হাসপাতলে রোগীকে নিয়ে আসতে ২২ হাজার টাকা নিয়েছেন অ্যাম্বুল্যান্স চালক। অভিযুক্ত ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে হাবড়া থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
শিলিগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে করোনা রোগীর চিকিৎসায় অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ জানান কিশোর তামাং নামে এক জন। কমিশনের চেয়ারম্যানের মতে, ‘‘অভিযুক্ত হাসপাতাল কমিশনের জারি করা নির্দেশবিধি না মেনেই যথেচ্ছ বিল করেছে।’’ এ ছাড়াও মানা হয়নি বেশ কিছু নিয়মও। চিকিৎসায় অতিরিক্ত খরচের জন্য অভিযোগকারীকে দু’লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি দার্জিলিংয়ের মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।