বিমানবন্দরে হবে মদের দোকান। — প্রতীকী চিত্র।
দিল্লি বিমানবন্দরে কয়েক বছর আগেই মদ বিক্রি শুরু হয়েছে। কিন্তু এশিয়ার প্রাচীনতম কলকাতা বিমানবন্দরে তা নেই। এ বার সেটাই শুরু করতে চলেছে রাজ্যের আবগারি দফতর। সব কিছু ঠিক থাকলে কয়েক মাসের মধ্যেই চালু হয়ে যাবে বিমানবন্দরের বিলিতি মদের দোকান।
এখন কলকাতা বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক (ইন্টারন্যাশনাল) টার্মিনালে এখন যে মদের দোকান রয়েছে, সেটি আবগারি দফতরের নয়। সেখানে ডিউটি ফ্রি মদ বিক্রি করে শুল্ক বিভাগ। নতুন উদ্যোগে আবগারি দফতর অন্তর্দেশীয় (ডমেস্টিক) টার্মিনালে হবে মদের দোকান। মদ বিক্রি হলেও সেখানে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা অবশ্য থাকবে না। আবগারি দফতরের ভাষায় এটি ‘অফ শপ’ হবে।
আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলেই বাকি কাজ হয়ে যাবে। কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রাজি হলেও, অনুমতি মেলেনি বাগডোগরার ক্ষেত্রে। স্থানাভাব দেখিয়ে আর্জি নাকচ করে দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। যা জানা গিয়েছে তাতে এই মদের দোকান সরাসরি রাজ্য সরকারের সংস্থা বেভকো (ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট বেভারেজেস কর্পোরেশন) চালাবে। সেই কারণে এই দোকানের জন্য কোনও দরপত্র প্রকাশ করেনি আবগারি দফতর।
বিমানবন্দরে মদের দোকানে কি দাম কম হবে? আবগারি দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘এটাই সরাসরি বেভকোর প্রথম খুচরো মদের দোকান হবে। দাম রাজ্যের অন্যত্র যেমন, তেমনই থাকবে। তবে দিল্লিতে ডিউটি ফ্রি সিঙ্গল মল্ট বা ব্লেন্ডেড হুইস্কি যে দরে পাওয়া যায় তার তুলনায় অনেকটাই কম হবে দাম।’’ কিন্তু বিমানবন্দরে গিয়ে কারা মদ কিনবেন? ওই আবগারি কর্তা বলেন, ‘‘বিমানে এক জন ব্যক্তি পাঁচ লিটার পর্যন্ত মদ নিয়ে উঠতে পারেন। সেটা বাইরে থেকে কিনে আনতে হত। এখন আর সেই সমস্যা থাকবে না। বিমানবন্দর চত্বরেই মদ পাওয়া যাবে।’’
রাজ্যে সম্প্রতি মদের দাম অনেকটাই কমেছে। এর পরে বিক্রির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। আবগারি দফতর সূত্রে পাওয়া হিসাব বলছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রাজ্যে মদের বিক্রি ছিল ১২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার। এর মধ্যে বছরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বিক্রি ছিল ৪,৩২১ কোটি টাকার। সেখানে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে বিক্রি হয় ৫,৪৭১ কোটি টাকার মদ।