পুরভোট নিয়ে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
বিধানসভা ভোটের আগেই কি কলকাতা পুরসভার ভোট? রাজ্য প্রশাসন এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূ্ত্রে পাওয়া খবরে উঠে আসছে তেমনই সম্ভাবনা।পুরভোট করতে কোনও অসুবিধা নেই— রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রাজ্য সরকার এই বার্তা দিয়েছে বলে খবর। আগামিকাল বুধবার হলফনামা দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে সে কথাই কমিশন জানাতে চলেছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। যদিও ওই হলফনামার ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেয়, তার উপরেও নির্ভর করছে কলকাতা পুরসভার ভোটগ্রহণ।
আগামী ১৫ জানুয়ারি ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শেষ হচ্ছে। তার পর কলকাতায় কত ভোটার রয়েছে সে বিষয়ে চূড়ান্ত (অ্যাডাপ্টেশন) তালিকা তৈরি করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে কলকাতার পুরভোট হতে পারে। সেই হিসাব ধরলে আগামী বছরের মার্চের মাঝামাঝি কলকাতা পুরসভার ভোটগ্রহণের সম্ভাবনা।
শুধু কলকাতা পুরসভাই নয়, রাজ্য জুড়ে ১১৬টি পুরসভা এবং পুরনিগমের ভোট বাকি রয়েছে। প্রত্যেকটিতেই প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। বিরোধীরা দ্রুত ভোটের দাবি জানালেও, ভোট হয়নি। তার মধ্যেই চলে আসে করোনাভাইরাস। ফলে এখনও ভোট করানো সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট পুরভোট নিয়ে রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের মতামত জানতে চায়। আগামিকাল বুধবার হলফনামা জমা দেওয়ার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সেই হলফনামায় কমিশন আদালতে কী মতামত জানায়, তার দিকে তাকিয়ে বিরোধীরা। তবে নবান্নের সূত্রে খবর, রাজ্য সরকার শুধু কলকাতার ভোট চাইলেও বিরোধীরা সব পুরসভাতেই ভোটের দাবি জানাবেন।
আরও পড়ুন: ফোনে শুভেন্দুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা কৈলাসের, যোগদান কি অমিত-সফরে
আরও পড়ুন: গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত নয়, কোচবিহারে বৈঠকে নেতাদের বার্তা নেত্রী মমতার
মেয়াদ ফুরনোর পরেও ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে রাজ্যের শাসক দল ভোট করাচ্ছে না— এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন জনৈক শরদ কুমার। কিন্তু সেই মামলা খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান শরদকুমার। তাঁর দাবি ছিল, পুর আইন কাজে লাগিয়ে, পুরসভার মেয়াদ শেষে নির্বাচন করানোর সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা খারিজ করে দেওয়া যায় না। এখন বুধবার সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেয়, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বিরোধীরা।