মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষিত স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবা মেলে নিখরচায়। সরকার ওই খরচ মেটায়। কিন্তু সরকার নির্ধারিত চিকিৎসার দর নিয়ে আপত্তি রয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের একটি অংশের মধ্যে।
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমে স্বাস্থ্যসাথী-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসার সরকারি বরাদ্দের বাড়ানোর দাবি করল ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম’। সংগঠনের তরফে চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুণ রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ দফতরের প্রিন্সিপাল সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের কাছে এ বিষয়ে সোমবার একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসা পরিষেবা শুরুর পরে রাজ্যের চিকিৎসকদের উপার্জন অনেক কমে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে। পাশাপাশিস রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলি নানা অসুবিধায় পড়ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। সকলের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য নারায়ণস্বরূপের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে চিকিৎসক সংগঠনটির তরফে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষিত স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবা মেলে নিখরচায়। সরকার ওই খরচ মেটায়। কিন্তু সরকার নির্ধারিত চিকিৎসার দর নিয়ে আপত্তি রয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের একটি অংশের মধ্যে। ওই অংশের বক্তব্য, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের চিকিৎসা চালিয়ে তাঁদের লোকসান হচ্ছে। কারণ, সরকার ওইসব অসুখের চিকিৎসার জন্য যে ‘রেট’ বেঁধে দিয়েছে তাতে খরচ উঠছে না।
তা ছাড়া ‘সবার জন্য স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প চালু হলে রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে মনে করেন বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের একাংশ। পাশাপাশি, চিকিৎসার পরে সময়মতো সরকারের থেকে টাকা না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। গত সপ্তাহে রাজ্যের ২০টি বেসরকারি হাসপাতাল প্রায় ২০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানিয়েছে। বকেয়া ওই টাকা না মেটালে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয় বলে নারায়ণস্বরূপকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে তারা।