গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
এক লাফে ২৪ ঘণ্টার হিসেবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে গেল দু’শোরও বেশি। গত ১ জুলাইয়ের পর এক দিনে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এত নীচে নামেনি। যদিও এই পরিসংখ্যান যে বিরাট স্বস্তিদায়ক, এমন নয়। কারণ, নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও কমেছে প্রায় ১২ হাজার। প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠেছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হারে। রবিবারের চেয়ে এই হার বেড়েছে সোমবার। তবে আশা জাগিয়ে সুস্থতার হার বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত।
সোমবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬১২ জন। ১ জুলাই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ জন বেশি, ৬১২। তার পর থেকে আর ২৪ ঘণ্টায় এত নীচে নামেনি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। অন্য দিকে রবিবার ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮২৩। সোমবারের সংখ্যা মিলিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৬১ হাজার ৩২১।
তবে আক্রান্তের সংখ্যা অন্যতম কারণ টেস্টের সংখ্যা কম। রবিবার যেখানে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজার ১২৩, সোমবার সেই সংখ্যা এক ধাক্কায় কমে হয়েছে ২৩ হাজার ৩১৩। অর্থাৎ প্রায় ১২ হাজার কম। ফলে সংক্রমণের হারও বেড়েছে। রবিবার এই হার ছিল ২.৩৪ শতাংশ। সোমবার তা বেড়ে হয়েছে ২.৬৩ শতাংশ। প্রতিদিন কত সংখ্যক টেস্ট হচ্ছে এবং তার মধ্যে ১০০ জনে কত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেই পরিসংখ্যানকেই বলা হয় পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার।
বেশ কিছু দিন ধরেই রাজ্যে প্রতিদিন কোভিডে মৃতের সংখ্যা কুড়ির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। সোমবার নতুন আক্রান্তের মতো মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে। সোমবারের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার মারা গিয়েছিলেন ১৯ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট কোভিডের বলি হলেন ৯ হাজার ৯৫৭ জন।
দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে সুস্থতার হার বৃদ্ধিতে স্বস্তিতে রয়েছে প্রশাসন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৩৯ জন। সোমবারের বুলেটিন অনুযায়ী সুস্থতার হার রবিবারের ৯৬.৮২ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৬.৮৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত রাজ্যে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮২৬ জন। রাজ্যে সোমবার পর্যন্ত সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৫৩৮।
রবিবারের বুলেটিন অনুয়ায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতায়— ১৬৪ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬২ জন।