মন্ত্রী অখিলের মন্তব্যকে দলের তরফেও সমর্থন করা হয়নি। ফাইল চিত্র ।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বিরুদ্ধে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির কুরুচিকর মন্তব্য নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলা থেকে বাদ দেওয়া হল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এই ঘটনার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কোনও ভাবেই যুক্ত নন। তাঁকে এই মামলায় যুক্ত করার কোনও কারণ নেই। তাই এই মামলা থেকে বাদ দেওয়া হল দলনেত্রী মমতার নাম।
গত নভেম্বরে নন্দীগ্রামে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিলের বিরুদ্ধে।
নন্দীগ্রামে অখিলের ওই সভার একটি ভিডিয়ো ফুটেজও প্রকাশ্যে আসে (আনন্দবাজার অনলাইন তার সত্যতা যাচাই করে দেখেনি)। ওই ভিডিয়োতে মন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। তোমার রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা?’’
অখিলের এই মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। অখিলের বিরুদ্ধে সরব হয় গেরুয়া শিবির-সহ বিশিষ্টজনেরাও। মন্ত্রী অখিলের এই মন্তব্যকে তাঁর দলের তরফেও সমর্থন করা হয়নি। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদীকে নিয়ে রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা। মমতা বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি খুবই সুন্দর মহিলা। অখিল অন্যায় করেছেন। আমি ধিক্কার জানাচ্ছি। বিধায়কের হয়ে ক্ষমা চাইছি। দুঃখপ্রকাশ করছি।’’ এর পর ক্ষমা চেয়েছিলেন অখিলও।
বিষয়টি নিয়ে অখিলের নামে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করা হয়। মামলাটি করেন নীলাদ্রি সাহা। সেই মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর নামও যুক্ত করেছিলেন মামলাকারী। সোমবার সেই মামলা থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম বাদ দিল উচ্চ আদালত।