Anubrata Mandal

Anubrata Mandal: যানজট খুলে কলকাতার দিকে অনুব্রতর সিবিআই কনভয়, পথে একদম চুপ রইলেন ‘মুখর’ কেষ্ট

আসানসোল আদালত চত্বরে অনুব্রতকে নিয়ে এসেছিলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। অনুব্রতকে ২০ অগস্ট পর্যন্ত হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২২ ১৯:৩০
Share:

নিজাম প্যালেসের পথে ধনেখালিতে যানজটে আটকে অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র।

প্রায় তিন ঘণ্টা শুনানির পর অনুব্রত মণ্ডলকে বের করা হল আসানসোল আদালত চত্বর থেকে। আগামী ২০ অগস্ট পর্যন্ত তাঁকে সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতাকে কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরে আনা হচ্ছে। সূত্রের খবর, আগামী ন’দিন সেখানেই থাকবেন অনুব্রত। পথে ধনেখালিতে যানজটে আটকে যায় গাড়ি। সে সময় সাংবাদিকরা তাঁকে এই গ্রেফতারির বিষয়ে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন। কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে বসে থাকেন অনুব্রত। মাঝে, মাঝে হাই তুলতে, জল খেতে দেখা যায় তাঁকে।

Advertisement

প্রায় ৫০ মিনিট ধরে আটকে থাকার পর স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় সিবিআইয়ের গাড়ি যানজট কাটিয়ে ফের রওনা দেয় কলকাতার উদ্দেশে।

বৃহস্পতিবার সন্ধে সওয়া ৭টা নাগাদ অনুব্রতকে নিয়ে রওনা হয় সিবিআইয়ের কনভয়। তার আগে আদালত চত্বরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিশাল একটি দল অনুব্রতকে ঘিরে রেখেছিল অনুব্রতকে। সেই কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই অনুব্রত পৌঁছে যান আসানসোল আদালত কক্ষ থেকে তাঁর জন্য অপেক্ষারত সিবিআইয়ের গাড়ি পর্যন্ত। অবশ্য তার মধ্যেও অনুব্রতকে লক্ষ্য করে আরও একবার ধেয়ে আসে ‘গরুচোর’ স্লোগান। যেমনটা দেখা গিয়েছিল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ আদালত চত্বরে অনুব্রতের প্রবেশ করার সময়েও। আদালত চত্বর থেকে অনুব্রতকে নিয়ে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রওনা হয় সিবিআইয়ের কনভয়। আপাতত সড়ক পথেই আসানসোল থেকে অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার নিজাম প্যালেসের উদ্দেশে রওনা হয়েছে সিবিআই।

Advertisement

অনুব্রতকে যে নিজাম প্যালেসেই আনা হচ্ছে তা নিশ্চিত করেছেন তাঁর আইনজীবী সঞ্জীব কুমার দাঁ। এমনকি, অনুব্রতের জন্য ইতিমধ্যেই কলকাতার কম্যাণ্ড হাসপাতালে একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অনুূব্রতের আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘‘অনুব্রতবাবুকে রাতেই কলকাতার নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হবে। সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন যদি তিনি অসুস্থ হন, তা হলে আলিপুরের কম্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। বিচারক তিন চিকিৎসকের একটি দলও গড়ে দিয়েছেন। সেই দলে এক জন মেডিসিন, এক জন কার্ডিয়োলজিস্ট এবং এক জন নিউরোলজিস্ট রয়েছেন। তাঁদের পরামর্শেই হাসপাতালে ভর্তি করানো যাবে। নচেৎ নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement