বিজেপি-র পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পরে শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরে শুভেন্দু অধিকারী জানালেন, রাজ্য সরকারের গঠনমূলক পদক্ষেপগুলির ক্ষেত্রে সহযোগিতার নীতি নিয়েই চলবেন তিনি। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘যখন ২৯ জন বিরোধী বিধায়ক ছিলেন, তখন আমি বিধানসভার সদস্য ছিলাম। ২৩৫- এর দম্ভ আমি দেখেছি। সেই পরিস্থিতি এখন নেই। আমার অঙ্গীকার হল, হিংসা মুক্ত বাংলা। শান্তির বাংলা। যে কোনও গঠনমূলক কাজে সরকারের সহযোগিতা করব।’’
তবে রাজ্য বিধানসভায় নয়া বিরোধী দলনেতা রাজ্য জুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে পরিষদীয় নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরে তিনি বলেন, ‘‘ প্রথা মাফিক এই অনুষ্ঠান হচ্ছে। আমাকে মালা পরানো হয়েছে, পরেছি। কিন্তু আমাদের মন ভাল নেই। কারণ পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। এখানে গণতন্ত্র ফেরাতে হবে। শুধু মাত্র অন্য দলকে ভোট দেওয়ার জন্য লক্ষাধিক মানুষকে বাইরে থাকতে হচ্ছে। তাই আজ উল্লাস করার সময় নয়।’’
পরে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘গঠনমূলক কাজে অংশগ্রহণের পাশাপাশি আমরা অত্যাচারের প্রতিবাদেও সরব হব।’’ ঐকমত্যের ভিত্তিতেই তিনি বিজেপি পরিষদীয় দল পরিচালনা করবেন জানিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়কের ঘোষণা, ‘‘দল আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করব। কোনও সিদ্ধান্ত শুভেন্দু একা নেবে না, সকলকে নিয়ে চলবে।’’
নন্দীগ্রামে তাঁর কাছে পরাজিত হওয়ার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রসঙ্গে খোঁচা দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এই প্রথম কোনও ব্যক্তি বিধানসভা নির্বাচনে হারার পরেও মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন।’’