ভোটের লাইনে ভিড়। ছবি: পিটিআই।
রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন। স্বাভাবিক ভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের মতো উষ্ণতা নেই এই ভোটে। কিন্তু রাজ্যের চার কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি জায়গায় শাসকদল তৃণমূল এবং প্রধান বিরোধী বিজেপি-র মধ্যে দৃশ্যত টক্কর জারি রইল। একেবারে দক্ষিণের কেন্দ্র গোসাবায় অবশ্য কোনও পক্ষেরই জোরালো ‘স্বর’ শোনা যায়নি। কয়েকটি জায়গায় অবশ্য প্রাথমিক ভাবে ইভিএম নিয়ে সমস্যার কথা শোনা গিয়েছে। পরে অবশ্য ভোটদান চলে নির্বিঘ্নেই।
সব চেয়ে বেশি ভোট পড়েছে শান্তিপুরে। সেখানে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট দানের হার ৭৬.১৪ শতাংশ। ওই কেন্দ্রটি বিধানসভা নির্বাচনের সময় প্রায় ১৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিল বিজেপি। কিন্তু জয়ী প্রার্থী জগন্নাথ সরকার সংসদের আঙিনায় ফিরে যাওয়ায় শান্তিপুরে উপনির্বাচনের আয়োজন। শনিবার বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তির খবর মিলেছে শান্তিপুরে। তা ছাড়া নির্বাচন মিটেছে নির্বিঘ্নেই। ভোট দানের হারে এর পরেই রয়েছে গোসাবা। সেখানে ভোট পড়েছে ৭৫.৯১ শতাংশ। গোসাবা তৃণমূলের জেতা আসন। বস্তুত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১টি আসনের মধ্যে ৩০টিই তৃণমূলের দখলে ছিল। তবে তৃণমূল প্রার্থী জয়ন্ত নস্করের মৃত্যুতে ওই কেন্দ্রে উপ নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে।
কোচবিহারের দিনহাটায় শনিবার ভোট হয়েছে বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তির মধ্যে দিয়ে। ওই কেন্দ্রে ভোট দানের হার ৬৯.৯৭ শতাংশ। দিনহাটায় বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। তিনি আবার সাংসদে ফিরে যান। পরে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও হন বটে। ওই কেন্দ্র বিজেপি জিতেছিল মাত্র ৫৭ ভোটে। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কেন্দ্রে জোড়াফুল ফুটবে বলে আশাবাদী তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহও। যদিও জয়ের আশা ছাড়ছেন না বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল।
এই দফার উপ নির্বাচনে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে খড়দহে। মাত্র ৬৩.৯০ শতাংশ। ওই কেন্দ্র অবশ্য তৃণমূলের দখলে থাকা আসন। ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিংহ। তাঁর মৃত্যুতেই ফের ভোট হল ওই কেন্দ্রে। শনিবার ওই কেন্দ্রে ভোট হয়েছে মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ভাবেই। এই উপ নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে ২ নভেম্বর। চারটি আসনের মধ্যে বিরোধীরা কতগুলি দখলে রাখতে পারে সে দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।