পর্ষদ জানিয়েছে, ২০২২ সালের আগে যে সব স্কুলে পরিচালন সমিতির মেয়াদ শেষ হয়েছে, তা আর বৃদ্ধি করা যাবে না। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
স্কুলের পরিচালন সমিতির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও বার বার তা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে এ বার সিদ্ধান্ত নিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সব জেলার ডিআইদের চিঠি দিয়ে পর্ষদ জানিয়েছে, ২০২২ সালের আগে যে সব স্কুলে পরিচালন সমিতির মেয়াদ শেষ হয়েছে, তা আর বৃদ্ধি করা যাবে না। সেখানে অবিলম্বে প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে। পরবর্তী কালে নতুন পরিচালন সমিতি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ওই প্রশাসকই স্কুল পরিচালনার যাবতীয় কাজ দেখবেন।
পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, যে সব সরকারি স্কুলে ২০২২ সালের আগে পরিচালন সমিতির নির্বাচন হয়েছে এবং এখন সেই সমিতির মেয়াদ বৃদ্ধি করে কাজ চালানো হচ্ছে, সেখানেও ওই সমিতি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে। কিছু স্কুলে পরিচালন সমিতি সংক্রান্ত মামলা আদালতে বিচারাধীন। পর্ষদ জানিয়েছে, মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পরে সময় মতো ওই সব স্কুলে পরিচালন সমিতি গঠন করা হবে। যদিও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, ‘‘ডিসেম্বর মাসে অনেক সমিতির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। কোথায় কোনও সদস্য মারা গিয়েছেন, কেউ আবার আর কাজ করতে চান না। তাঁদের ক্ষেত্রে পরিচালন সমিতিতে বদল আনা হবে। যে সব সমিতির সদস্যেরা থেকে যেতে চান, তাঁদের রেখে দেওয়া হচ্ছে।’’
কী ভাবে নিয়োগ করা হবে প্রশাসক? পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিআই (জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক)-রা সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলি পরিদর্শন করবেন। ১০ দিনের মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে তা নিয়ে রিপোর্ট পাঠাবেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। ওই প্রশাসকেরা ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা মসৃণ ভাবে পরিচালনার কাজ করবেন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য তারা বদ্ধপরিকর। তাই প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের একটি সংগঠনের দাবি, রাজ্যের বহু স্কুলে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও অবৈধ ভাবে পরিচালন সমিতি চলছে। প্রশাসক নিয়োগ এর সমাধান নয়। অতি দ্রুত নতুন পরিচালন সমিতি গঠন করা হোক এবং তিন বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন কমিটি গঠন করার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনা হোক।