Primary Recruitment Case

সিবিআইয়ের নথি পরীক্ষার খরচ জোগাতে পারছি না, নিজাম প্যালেসে চিঠি দিল পর্ষদ, মামলা হাই কোর্টেও

প্রাথমিক নিয়োগের মামলায় সিবিআইকে প্রয়োজনে তৃতীয় সংস্থার সাহায্য নিতে বলেছিল আদালত। সেই খরচ বহন করতে বলা হয় পর্ষদকে। তা নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে পর্ষদ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪ ১৫:৫৪
Share:

সিবিআইয়ের নথি পরীক্ষার খরচ জোগানোর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

প্রাথমিক নিয়োগের মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতর এবং এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দফতর থেকে যে সমস্ত হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই, তার নথি পরীক্ষার খরচ বহন করতে অপারগ পর্ষদ। নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতরে চিঠি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে তারা। এ বিষয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছে পর্ষদ। সিবিআইকে চিঠিতে সে কথা জানানো হয়েছে।

Advertisement

প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দফতরে একাধিক বার হানা দেয় সিবিআই। ২০১৪ সালের প্রাথমিকের উধাও হওয়া উত্তরপত্র বা ওএমআরের খোঁজে ওই দফতরে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক হার্ড ডিস্ক এবং সার্ভার। একই উদ্দেশ্যে পর্ষদের দফতরেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। আদালত জানিয়েছিল, এই সংক্রান্ত খরচ পর্ষদকে বহন করতে হবে। সেই অনুযায়ী, বাজেয়াপ্ত করা হার্ড ডিস্কের নথি পরীক্ষার জন্য আরও নতুন হার্ড ডিস্ক প্রয়োজন বলে সিবিআই জানিয়েছিল পর্ষদকে। তার ভিত্তিতেই চিঠি গিয়েছে নিজাম প্যালেসে। পর্ষদ জানিয়েছে, ডিজিটাল নথি পরীক্ষার খরচ তারা দিতে অপারগ। হাই কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তা চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যে তারা খরচের বিষয়টি নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে। সেখানে মামলাটি বিচারাধীন। তাই এখনই খরচ জোগাতে পারবে না পর্ষদ।

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকে নিয়োগ মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। কিছু দিন আগে একটি বিশেষ নির্দেশে হাই কোর্ট জানিয়েছিল, ২০১৪ সালের টেটের ওএমআরের তথ্য উদ্ধার করতে প্রয়োজনে তৃতীয় পক্ষের সাহায্য নিতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা। নির্দেশ দেওয়ার সময় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছিলেন, সিবিআই যদি ওএমআর তথ্য উদ্ধারে অসমর্থ হয়, তবে তারা দেশের তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির সংস্থাগুলির থেকেও সাহায্য নিতে পারে। প্রয়োজনে বাড়তি খরচ বহন করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকেই। আদালতের সেই নির্দেশের পর তৃতীয় পক্ষ হিসাবে সিবিআইয়ের অধীনস্থ নয় এমন দুই সাইবার বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে নিয়ে এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দফতরে গিয়েছিল সিবিআইয়ের বিশেষ দল। পর পর কয়েক দিন সেখানে তল্লাশি চলেছে। উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক নথি। সেগুলি যাচাই করতে পর্ষদের কাছ থেকে নতুন হার্ড ডিস্ক চাওয়া হয়েছিল। তার পরেই নিজাম প্যালেসে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement