—প্রতীকী ছবি।
প্যানেল প্রকাশ হতেই বিস্তর অভিযোগ ওঠায় তা তুলে নেওয়া হয়েছিল। তারপর আর সেই প্যানেল প্রকাশ হল না।
প্যানেল যদি স্বচ্ছ হয় তা হলে তা প্রকাশ করতে কেন এত গড়িমসি, প্রশ্ন প্রাথমিকের ২০১৪-র চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, ১০ দিনের মধ্যে প্যানেল প্রকাশ করতে। তাঁরা দীর্ঘ আন্দোলনে ওই দাবি করে আসছেন। আরটিআই করেও তাঁরা প্যানেল জানতে পারেননি। অভিযোগ, অধিকাংশেরই নিয়োগ সরাসরি এসএমএসের মাধ্যমে হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে ফোন করা হলে বলেন, ‘‘এ নিয়ে এখন কোনও মন্তব্য করব না।’’
চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন প্রাথমিকের বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল ২০১৪-তে। ২০১৫-তে টেট হয়। ২০১৬-এর ১৪ সেপ্টেম্বর ফল বেরোয়। ইন্টারভিউ হয় ২০১৬-তেই। ২০১৭-র জানুয়ারিতে নিয়োগ হয় ৪২ হাজার ৯৪৯ জনের। এর অধিকাংশই বেআইনি নিয়োগ বলে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের।
২০১৬-তে ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন অর্ণব ঘোষ। নিয়োগ হয়নি। মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে ধর্না মঞ্চে বসে অর্ণব জানান, ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া তখন জেলাভিত্তিক হয়েছিল। অর্ণব বলেন, ‘‘অস্বচ্ছতা ছিল ওই নিয়োগে। আমাদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় কোনও অ্যাপটিচিউট টেস্ট হয়নি। সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি। যাঁরা ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন, তাঁরা পেনসিল দিয়ে নম্বর দিচ্ছিলেন। ওএমআর শিটের মূল্যায়ন হয়েছে পুরনো পদ্ধতিতে।’’ অভিযোগ, আরটিআই করে তাঁরা শুধু হুগলি জেলার প্যানেল জানতে পেরেছিলেন। সেখানে দেখা যায় ওই জেলায় শূন্যপদের থেকে অনেক বেশি নিয়োগ হয়েছে।
চাকরিপ্রার্থীরা জানাচ্ছেন, আদালতের নির্দেশে ২০২২-এ প্যানেল কিছু সময়ের জন্য প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই প্যানেল প্রকাশ হতেই হাজার অভিযোগ ওঠে। তখন পর্ষদ নোটিস জারি করে বলে, কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটি রয়েছে ওই প্যানেলে। ১১ ডিসেম্বর টেট-এর পরে প্যানেল প্রকাশ পাবে। সেই প্যানেল তুলে নেওয়া হয়। তারপর আর প্যানেল প্রকাশ হয়নি।
চাকরিপ্রার্থীদের মতে, প্যানেল ফের প্রকাশ হলেই বোঝা যাবে কতটা অস্বচ্ছতা ছিল নিয়োগে। তাঁদের প্রশ্ন, কেন প্যানেল প্রকাশ করছে না পর্ষদ?