বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র।
শেষ পর্যন্ত ভবানীপুরে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে মঙ্গলবার তিনটি নামের সুপারিশও পাঠানো হয় দিল্লিতে। তাঁদের মধ্যে এক জন হলেন গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যাওয়া রুদ্রনীল ঘোষ। ভবানীপুরের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এ দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে হেস্টিংসের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক হয়। তার পরে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে তিন জনের নাম যায়। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই। ওই বৈঠকের আগে দিলীপের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘অনেককেই আমরা বলেছিলাম, আপনারা ভোটে লড়ুন। অনেকে রাজি হচ্ছেন না। লড়াই তো ময়দানে লড়তে হয়! পিছন থেকে নয়।’’ ভবানীপুরের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রুদ্রনীলের নাম আছে বলে জানালেও অন্য দু’জনের নাম বলতে চাননি দিলীপ। তবে বিজেপি সূত্রে যত দূর জানা যাচ্ছে, সেখানে গড়িয়াহাট অঞ্চলের দলীয় কাউন্সিলর তিস্তা দাস বিশ্বাসের নাম থাকতে পারে।
দিলীপ এ দিন আরও বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট— সর্বত্র সিপিএম-কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে তৃণমূলের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিজেপি। দল ভোটে লড়বে। যাঁরা লড়বেন আর যাঁরা লড়াবেন, তাঁদের নাম কাল ঘোষণা করা হবে।’’
নির্বাচন কমিশন শনিবার ভবানীপুরের উপনির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই কমিশনের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। দিলীপ শনিবার থেকে টানা বলে এসেছেন, কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার যুক্তি আছে। এ বিষয়ে আইনজীবীদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে আদালতে যাওয়া হবে। কিন্তু এ দিন পর্যন্ত আদালতে যাওয়ার ব্যাপারে বিজেপির কোনও অগ্রগতি দেখা যায়নি। এ দিনও দিলীপ ফের বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়। তবে ভবানীপুর নিয়ে আদালতে যাওয়া হবে কি না, সিদ্ধান্ত হয়নি। আইনজীবীরা বললে আদালতে যাব।’’ রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য গত দু’দিন ধরেই বলেছেন, ভবানীপুরের উপনির্বাচন ঠেকাতে দল আদালতে যাবে না।