ছবি: সংগৃহীত।
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের আনা কৃষি আইনের বিরোধিতা করে প্রস্তাব পাশ করা হবে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। সেই মতোই চলতি মাসের ২৭-২৮ তারিখে বসছে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন। সেই অধিবেশনে মোদী সরকারের আনা ফার্মার্স প্রডিউস ট্রেডস এন্ড কমার্স অ্যাক্ট ২০২০-এর বিরোধিতা করে প্রস্তাব পাশ করাবে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, দিল্লিতে বেড়ে চলা কৃষক আন্দোলনকেও পরিষদীয় ভাষায় স্বীকৃতি দেবে।
যদিও, ইতিমধ্যে রাজস্থান ও পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার এই ধরনের প্রস্তাব পাশ করেছে। শুক্রবার বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে এবিষয়ে আলোচনা হয়। পরে পরিষদীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২৭ তারিখে অধিবেশন শুরুর জন্য স্পিকারের কাছে চিঠি জমা দিয়ে গেলাম। মূলত দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। প্রথম কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে একটি সর্বদলীয় প্রস্তাব আনা হবে। সঙ্গে কৃষকদের স্বার্থে আইনগুলি বাতিলের দাবি করবে রাজ্য। সেই প্রস্তাব বাম কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের কাছেও পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পার্থ। দ্বিতীয়ত, জিএসটি ৫ শতাংশ বৃদ্ধির দাবিতেও একটি প্রস্তাব আনা হবে। তবে বাজেট অধিবেশন নিয়ে সরকার পক্ষ পরে আলোচনা সাপেক্ষে জানাবে বলে জানিয়েছেন পার্থ। আপাতত ২৭-২৮ তারিখেই বসবে অধিবেশন।
তবে রাজ্য সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে নিজেদের জয় হিসেবেই দেখছে বিরোধী বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস পরিষদীয় দল। কারণ, দু'পক্ষই কৃষি আইনের বিরোধিতা করে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশের দাবি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছিল। কিন্তু, এবার তাঁরা শুধু কৃষক বিরোধী প্রস্তাবেই শান্ত হচ্ছে না। বিরোধী বাম-কংগ্রেস পরিষদীয় দলের দাবি, দু'সপ্তাহের জন্য বিধানসভা অধিবেশন করতে হবে। তবে বিরোধী বাম-কংগ্রেসের দাবি যে শাসকদল কানেই তুলছেন না, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন পার্থ। সঙ্গে বাম-কংগ্রেস পরিষদীয় দল যে অনাস্থা আনার দাবি তুলেছে তাও এদিন নাকচ করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, সমুদ্র থেকে দু ঘটি জল তুলে নিয়ে গেলে যেমন ক্ষতি হয় না। তেমনই কয়েক জন দল ছেড়ে গেলে অনাস্থা আনার কোনও প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: সিঙ্গুরে টাটাকে ফেরাতে অনুরোধ জানাব প্রধানমন্ত্রীকে: মুকুল
আরও পড়ুন: কৃষকদের সঙ্গে অষ্টম দফার বৈঠকেও জট কাটার সম্ভাবনা কম