রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়।—ফাইল চিত্র।
রাত তখন ১২টা হবে। হঠাৎ করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনের দিকে যে ভবন, তারই দোতলায় পদার্থবিদ্যা বিভাগের ভিতর থেকে উৎকট সব শব্দ আসতে থাকে। শব্দ শুনে মনে হচ্ছিল, পদার্থবিদ্যা বিভাগের ক্লাসরুম, গবেষণাগার, অফিস এবং কম্পিউটার রুমের ভিতরে চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ যেন কেউ সরিয়ে দিচ্ছে। পাশাপাশি কাচ ভাঙার শব্দও শোনা যায়। কিন্তু, নিরাপত্তারক্ষীরা পদার্থ বিভাগের সামনে গিয়ে দেখেন সেখানকার সব ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালা মারা।
আর তাতেই ঘাবড়ানোর পাশাপাশি ভয় পেয়ে যান কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূত রয়েছে। মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনায় উত্তর দিনাজপুরের রায়গ়ঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ‘ভূত’-এর আতঙ্ক জেঁকে বসেছে।
নিরাপত্তারক্ষীরা ভয় পেয়ে প্রথমে খবর দিয়েছিলেন দমকলে। খবর যায় পুলিশেও। কিন্তু, দমকল এবং পুলিশের কর্মীরা এসে পদার্থবিদ্যা বিভাগের ঘরগুলি তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালায়। কিন্তু, ওই শব্দের কোনও উৎসের সন্ধান মেলেনি। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনিল ভুঁইমালির নেতৃত্বে অধ্যাপকদের অনেকে ওই ঘরগুলি দেখতে যান। তাঁরাও সন্দেহজনক কিছু পাননি। গত রাতে ওই উৎকট শব্দের উৎস কী, তা-ও তাঁরা বুঝতে পারেননি।
আরও পড়ুন
কোন্দল সামলাতে নয়া ফর্মুলা, পঞ্চায়েতের তিন স্তরেই ‘দলনেতা’ বসাচ্ছে তৃণমূল
পদার্থবিদ্যা বিভাগের বাইরের চত্বরে এমনিতেই আলো একটু কম। শুধু তাই নয়, ওই ভবনে যে সিসি ক্যামেরাগুলি ছিল তা-ও ইদানীং অচল হয়ে রয়েছে। ফলে, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে যে উৎকট শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন, সে সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি পুলিশ এবং দমকলও কিছু বুঝে উঠতে পারছে না। অথচ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভূত’ আছে বলে গোটা এলাকায় চাউর হয়ে গিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পদার্থবিদ্যা বিভাগের বাইরে পর্যাপ্ত আলো এবং কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অচল সিসি ক্যামেরাগুলিও ঠিক করে চালু করা হবে।