Visva Bharati University

তিন মাস পেরিয়ে সাপ্তাহিক উপাসনা

উপাসনায় উপস্থিত সকলেই পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন এবং মাস্ক পড়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২০ ০৩:২১
Share:

বুধবারের সাপ্তাহিক উপাসনা। নিজস্ব চিত্র

ঐতিহ্যবাহী বুধবারের সাপ্তাহিক উপাসনা প্রায় তিন মাস পরে আবার শুরু হল বিশ্বভারতীতে। ১৭ মার্চ বিশ্বভারতী ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, করোনাভাইরাস-এর সংক্রমণের আশঙ্কা থাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না-হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বুধবারের সাপ্তাহিক উপাসনা। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুসারেই ১১ মার্চের পর থেকে প্রায় তিন মাস বন্ধ ছিল এই উপাসনা। বুধবার পিয়ার্সন মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসক অনির্বাণ দাশগুপ্তকে আচার্যের আসনে বসিয়ে আবার চিরাচরিত প্রথায় উপাসনা ফিরে এল শান্তিনিকেতনে।

Advertisement

এ দিনের উপাসনায় অনির্বাণবাবু ছাড়াও ছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক, আধিকারিক এবং বেশ কিছু পড়ুয়া। উপাসনার মূল বিষয় ছিল, মৃত্যুবিয়োগ জনিত শোক কাটিয়ে ওঠা। সেই উদ্দেশে প্রথমে উপাচার্য নিজের বক্তৃতায় যেমন শোক কাটিয়ে উঠে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন, তেমনই আচার্য অনির্বাণ দাশগুপ্ত রবীন্দ্র-জীবনে মায়ের মৃত্যুর শোক কাটিয়ে ওঠার কাহিনী হিসেবে ‘জীবনস্মৃতি’ থেকে ‘মৃত্যুশোক’ অংশটি পাঠ করেন। মূল বিষয়ের সঙ্গে সাজুয্য রেখে সঙ্গীত পরিবেশন করেন সঙ্গীত ভবনের অধ্যক্ষ স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এবং অন্য পড়ুয়ারা। উপাসনায় আদর্শ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হয়েছিল। মন্দিরে প্রবেশের আগেই প্রত্যেককে থার্মাল গান দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। প্রত্যেকের হাতে স্যানিটাইজার দেওয়া হয়। এ ছাড়াও দু’দিন আগে কর্মীমণ্ডলের পক্ষ থেকে উপাসনা গৃহে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বসার স্থান চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছিল।

এ দিনের উপাসনায় উপস্থিত সকলেই পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন এবং মাস্ক পড়েছিলেন। কর্মীমণ্ডলীর যুগ্ম-সম্পাদক কিশোর ভট্টাচার্য বলেন, “দেশ জুড়ে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় চিকিৎসকরা যেভাবে লড়াই করছেন, আজকের উপাসনার মধ্যে দিয়ে আমরা তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালাম। আগামী দিনেও ঠিক পদ্ধতি মেনে বুধবারের উপাসনা চিরাচরিত প্রথাতেই চলবে।”

Advertisement

এ দিনের আচার্য, চিকিৎসক অনির্বাণ দাশগুপ্ত বলেন, “কোনও বিরূপ পরিস্থিতিতেই জীবন থেমে থাকে না। এগিয়ে চলতে হয়। এ দিনের উপাসনার মধ্য দিয়ে সেই বার্তাই সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।” উপাসনা শুরু হওয়ায় খুশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, প্রাক্তনী থেকে আশ্রমিক সকলেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement