গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীরা।
ঝলমলে আকাশ আর তার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় গত দু’দিন ধরেই রাজ্যে চলছে শীতের দাপট। রাজ্যের সর্বত্র পারদ আরও নেমে যাওয়ায় মকর সংক্রান্তির আগে কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু পাহাড় থেকে সমতল।
আগামী বুধবার মকর সংক্রান্তি। এই দিনে গ্রামেগঞ্জে পুজো এবং পিঠেপার্বন উৎসব পালনের রীতি রয়েছে। তার উপর এই দিনেই গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যস্নান সারবেন তীর্থযাত্রীরা। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী এবং সাধুসন্তেরা গঙ্গাসাগর দ্বীপে গিয়ে হাজির হয়েছেন। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন রয়েছে ১০ হাজার পুলিশ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, প্রতি বছরের মতো এ বারেও মকর সংক্রান্তি পর্যন্ত ভাল ঠান্ডা থাকবে। ফলে এই গঙ্গাসাগর মেলা উপভোগ করতে পারবেন তীর্থযাত্রীরা। কলকাতায় ইতিমধ্যে স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কমে গিয়েছে তাপমাত্রা। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্নানে মগ্ন এক সাধু। গঙ্গাসাগরে। সোমবার।
আরও পড়ুন: দিনের শুরুতেই চাঙ্গা শেয়ার বাজার, রেকর্ড গড়ে সেনসেক্স ৪১,৮৯৩
কলকাতা ছাড়াও দুই ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, বীরভূম, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি রাজ্যের সর্বত্রই পারদ পতন ঘটেছে। সোমবার দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জলপাইগুড়ির ৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বীরভূমের শ্রীনিকেতনের তাপমাত্রা ৭.৬ ডিগ্রি, বাঁকুড়ার ১০.৭ এবং বর্ধমানের ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় এলে গুলি করে মারব: দিলীপ
এ বারে নতুন বছরের শুরুতে শীত ভাল উপভোগ করতে পারেননি বঙ্গবাসী। প্রথম থেকেই মেঘ এবং অকালবর্ষণের মধ্যে কাটাতে হয়েছে রাজ্যবাসীকে। ফলে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের যেমন বিপত্তিতে পড়তে হয়েছে, তেমন ছোটদের ঘোরার জায়গা চিড়িয়াখানা বা নিকো পার্কের পরিকল্পনা করেও বাতিল করতে হয়েছে অনেককে। তবে গত শনিবার থেকে মেঘ পুরোপুরি কেটে গিয়েছে। রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই শনিবার সকাল থেকে রোদের দেখা মিলেছে। শনিবার এক রাতেই পারদ অনেকটা নেমে গিয়ে ফের শীত ফিরে আসে রাজ্যে। গত রবিবার ছুটির দিনে তাই এইসব জায়গায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। জেলায় জেলায় পিকনিকের তোড়জোড়ও ছিল অনেক বেশি। পৌষের শেষে এই ঠান্ডা বজায় থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছে আলিপুর।
-নিজস্ব চিত্র।