—ফাইল চিত্র।
বারে বারেই পিছিয়ে যাচ্ছে বর্ষার আগমনবার্তা। শুক্রবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলেছিল, বর্ষা আসবে চার থেকে পাঁচ দিনের মাথায়। অর্থাৎ মঙ্গল অথবা বুধবার। সোমবার আবহাওয়া দফতর আবার জানাল, বর্ষা আসতে আরও চার দিন দেরি। অর্থাৎ বর্ষার আসার দিন আবার মঙ্গল থেকে পিছিয়ে গেল শুক্রবারে। এর আগেও ১২ কিংবা ১৩ জুন বর্ষা ঢোকার পূর্বাভাস দিয়েছিল হাওয়া অফিস। সেই বর্ষা-বার্তাও মেলেনি। কেন দক্ষিণবঙ্গে পা রাখছে না বর্ষা? কিসে দেরি হচ্ছে? সোমবার তা সবিস্তারে জানাল আবহাওয়া দফতর। তাদের বক্তব্য দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসার অনুকূল পরিস্থিতি অনেক দিন ধরেই তৈরি হয়ে রয়েছে। কিন্তু মৌসুমি বায়ু তার পরও দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করছে না।
আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, বর্ষার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে এবং মৌসুমি বায়ু জোরালো হলে এত দিনে তার দক্ষিণবঙ্গে চলে আসার কথা। সে জন্যই বর্ষার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। আবহবিদেরা মনে করছিলেন চার-পাঁচদিনের মধ্যে শক্তি সঞ্চয় করতে পারবে মৌসুমি বায়ু এবং জোরালো ভাবে বইতে শুরু করবে দক্ষিণবঙ্গে। বর্ষা নামবে তারপরে। কিন্তু অনুকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও মৌসুমি বায়ু দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করার মতো জোর পায়নি। ফলে মেলেনি পূর্বাভাস। উত্তরবঙ্গে ঢুকে পড়া বর্ষা থমকে থেকেছে ইসলামপুরে।
তবে আবহবিদেরা সোমবার জানাচ্ছেন, গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এই প্রক্রিয়া চললেও পরিস্থিতি আরও অনুকূল হয়েছে এখন। কারণ বিহার থেকে অসম পর্যন্ত একটি মৌসুমি অক্ষরেখা বিস্তৃত হয়েছে, তার সাহায্যেই মৌসুমি বায়ু দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশের পরিস্থিতি জোরালো হতে পারে। তা যদি হয়, তবে আগামী চার দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতি থেকে শুক্রবারের মধ্যে মৌসুমি বায়ুর দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করবে।বর্ষা নামবে তপ্ত বঙ্গে।
সোমবার ছিল আষাঢ় মাসের দ্বিতীয় দিন। সাধারণ হিসাবে আষাঢ়ের আগেই বর্ষা ঢুকে যায় দক্ষিণবঙ্গে। তার মধ্যে এ বছর দেশে বর্ষা সময়ের আগে প্রবেশ করায় দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা নিয়ে আশা বেড়েছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন, নিয়ম মেনে ১০ জুনের বদলে বর্ষা আগেই আসবে দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি। পরিবর্তে রাজ্যের দক্ষিণের বেশকিছু জেলায় দেখা দিয়েছে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। বাকি জেলাগুলিতে থেকেছে অস্বস্তিকর গরম এবং আর্দ্রতা।
সোমবার আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় আরও ২ দিন তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে। মঙ্গলবার থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। বর্ষা আসতে পারে বৃহস্পতি কিংবা শুক্রবার থেকে। অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি জারি থাকবে।