শীঘ্রই শীতের আমেজ শহরে। ছবি: পিটিআই।
আগামী সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে আসবে শীতের আমেজ। নভেম্বরের শুরুতে দু’-তিন দিন ভালই ঠান্ডা মালুম হয়েছিল শহর জুড়ে। কিন্তু আচমকাই সেই ঠান্ডা ভাব উধাও হয়ে যায়। বরং অন্যান্য বছরে নভেম্বরের মাঝামাঝি যে তাপমাত্রা থাকে, গত কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা তার চেয়ে বেশিই রয়েছে। ২৩ থেকে ২৬ নভেম্বরের মধ্যে তাপমাত্রা ফের নিম্নমুখী হবে বলে আলিপুর আবহওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুরোপুরি শীতের আমেজ না থাকলেও, কালীপুজোর সময় থেকেই রাজ্যে গরম একধাক্কায় অনেকটা কমে গিয়েছে। ভোরের দিকে ঠান্ডাও অনুভূত হচ্ছে। তবে বেলা বাড়লে তার রেশ কেটেও যাচ্ছে। শুক্রবার শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৫ ডিগ্রি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.৮ ডিগ্রি। সকাল থেকে আকাশ মেঘলা ছিল এ দিন।
অন্য জেলাগুলিতেও প্রায় একই অবস্থা। সকালের দিকে পুরুলিয়ায় আকাশ কালো হয়ে বৃষ্টি নামে। ঝোড়ো হাওয়াও বইতে দেখা যায় সেখানে। ভোরের দিকে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় কুয়াশার আস্তরণও লক্ষ্য করা গিয়েছে। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কেটে যায়।
আরও পড়ুন: মেঠো কবাডি থেকে সবুজ গল্ফ কোর্সে, নব্য অবতারে ময়দানে নয়া দিলীপ
আরও পড়ুন: মেসেজে আপত্তিকর প্রস্তাব শ্রাবন্তীকে, গ্রেফতার বাংলাদেশি যুবক
এ দিন বর্ধমানে সর্বোচ্চ তারমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৪। মেদিনীপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। পুরুলিয়ায় এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে পাহাড়ে তাপমাত্রা তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই কমে গিয়েছে। দার্জিলিংয়ে এ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৪ ডিগ্রি ছিল সেখানে। জলপাইগুড়িতে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.১ ডিগ্রি। কালিম্পংয়ে ১০.৫ ডিগ্রি। সোমবার থেকে তাপমাত্রা আরও নামবে বলে আলিপুর সূত্রে খবর।