কুয়াশা-মাখা: শনিবার দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
কালো মেঘে মুখ ঢেকেছে গোটা আকাশ। বাতাসে শিরশিরে ভাব। ‘তা হলে কি শীত এসে গেল?’, শনিবার সারা দিন এমনই প্রশ্ন ঘুরেছে আমজনতার মনে।
সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার, চার দিনের এই পর্বে মিলবে হাল্কা শীতের আমেজ। আর তাতে অল্পবিস্তর গরম পোশাকের প্রয়োজনও হবে বলেই মনে করছেন আবহবিদেরা। তাঁরা আরও জানান, আজ রবিবার থেকে আকাশের মুখ ভারও কিছুটা কাটবে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রবিবার কিছুটা তাপমাত্রা কমবে। সোমবার থেকে বেশিমাত্রায় পারদ নামবে। ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত এই প্রভাব চলবে। তার পরে ধীরে ধীরে ফের রাতের তাপমাত্রা বাড়বে।’’
আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, ২৩ নভেম্বর থেকে যে তাপমাত্রা নামার কথা বলা হচ্ছে, তাতে কলকাতার পারদ থাকবে ২০ ডিগ্রির নিচে অর্থাৎ ১৮ ডিগ্রির কাছাকাছি। আবার রাজ্যের পশ্চিমপ্রান্তের জেলা যেমন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের তাপমাত্রা প্রায় ১৪ ডিগ্রিতে নামার সম্ভবনা রয়েছে। আর বাকি জায়গার তাপমাত্রা থাকবে ১৪ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। তা হলে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে যে ঠান্ডা হাওয়া বইছে ও ভোররাত থেকে যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, সেটি কি রাজ্যে ঠান্ডা পড়ারই পূর্বাভাস? আবহবিদেরা অবশ্য তেমনটা বলছেন না। তাঁরা জানান, উত্তর-পূর্বে সমুদ্রের দিক থেকে গরম ও আর্দ্র বাতাস উঠে আসছে। আবার উত্তর-পশ্চিম থেকে ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস আসছে। এই দু’টি বিপরীতধর্মী চরিত্রের হাওয়া যখন এক জায়গায় মিলছে তখন সেই জায়গায় এমন মেঘ তৈরি হয়। তা থেকেই আকাশের মুখ ভার ও হাল্কা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আকাশ মেঘলা থাকায় শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টিপাত হয়েছে ২২.৬ মিলিমিটার। আবহাওয়াবিদেরা জানান, আজ রবিবার থেকে রাজ্যে পূবালি হাওয়ার প্রভাব কমবে। বদলে উত্তুরে হাওয়ায় পারদ নামবে। আজ আকাশ কিছুটা পরিষ্কার হলেও, রয়েছে হালকা বৃষ্টির সম্ভবনা। সব মিলিয়ে আগামী চার দিন চুটিয়ে শীতের আমেজ উপভোগ করার অপেক্ষা এখন।
আরও পড়ুন: ছটে লেটার কলকাতার, নম্বর কমল বহু জেলার
আরও পড়ুন: ‘বাঙালিয়ানা’র মোড়কে বিজেপি-র বিজয়া, মেনুতে ঘুগনি-নাড়ু-ছাঁচ সন্দেশ